মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাহোরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির গুলিতে নিহত পাকিস্তানের (Pakistan) জেলে বন্দি ভারতীয় নাগরিক সরবজিৎ সিংয়ের (Sarabjit Singh) হত্যাকারী আমির সরফরাজ। পাকিস্তানের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ছিল ডন সরফরাজের। খুন, অপহরণ-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। রবিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সরফরাজকে লক্ষ্য করে গুলি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
কে এই আমির সরফরাজ
২০১৩ সালে লাহোরের জেলে মৃত্যু হয়েছিল পঞ্জাবের ছেলে সরবজিৎ সিংয়ের (Sarabjit Singh)। জেলের মধ্যেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। কোট লাখপত জেলে বন্দি সরবজিৎ সিংকে ধারালো ধাতব পাত, লোহার রড ও ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করা হয়। জানা যায়, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে এই হামলার পিছনে হাত ছিল লাহোরের ডন হিসেবে পরিচিত আমির সরফরাজের। পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ৩২৪/ ৩৪ ধারা অনুযায়ী সর্বজিৎকে পরিকল্পনা করে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে খুনের মামলাও রুজু করা হয়। ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের এক আদালত সরবজিৎ সিং হত্য়া মামলার দুই সন্দেহভাজন আমির সরফরাজ ওরফে তাম্বা ও মুদাসসরকে বেকসুর খালসের নির্দেশ দেয়। সব সাক্ষীর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার পর রায় ঘোষণা করে লাহোর দায়রা আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়, 'দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে একজনও সাক্ষ্য দেননি। তাই প্রমাণের অভাবে তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হল।'
আরও পড়ুুন: রাজ্য দিবস পালন নিয়ে মমতাকে বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করলেন সুকান্ত, হল যোগদানপর্ব
সরবজিতের কাহিনি
১৯৯০ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোর এবং ফয়সালাবাদে পর পর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় সরবজিতের নাম জড়িয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, সরবজিতের (Sarabjit Singh) বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও এনেছিল পাকিস্তান সরকার। তবে সরবজিতের পরিবার বার বার দাবি করেছে, তাদের ছেলে কোনও ভাবেই কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়। জানা যায়, কৃষক পরিবারের ছেলে সরবজিৎ এক দিন রাতে মত্ত অবস্থায় পথ ভুলে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। সে সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন সরবজিৎ। তাঁর মুক্তির জন্য সরবজিতের দিদি দলবীর কৌর বহু চেষ্টা করেন। ২০১৬ সালে সিনেমাও হয় সরবজিতকে নিয়ে। ছবিতে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করেন রণদীপ হুডা। দলবীর কৌরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours