মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ের (Saktigarh) ল্যাংচার খ্যাতি সকলের মুখে মুখে ফেরে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান, দুর্গাপুর কিংবা কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের ল্যাংচা খাননি এমনই মানুষ খুব কমই মিলবে। খাদ্যরসিক বাঙালি ল্যাংচা হাবেই বুঁদ হয়ে যান। এবার থেকে এই মিষ্টির স্বাদ নেওয়ার আগে সাবধান! কারণ, ল্যাংচা হাবে অভিযান চালিয়ে যে তথ্য সামনে এল তা চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।
ল্যাংচার গায়ে ছত্রাক! (Saktigarh)
জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য বিভাগ, ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা শক্তিগড়ে (Saktigarh) ল্যাংচা হাবে অভিযান চালান। মূলত গ্রামে হানা দিতেই দেখা যায়, ল্যাংচার গায়ে সাদা ছত্রাক। এরকমই প্রায় তিন কুইন্টাল ল্যাংচা নষ্ট করল প্রশাসন। জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী ছিলেন এদিনের অভিযানে। তিনি বলেন, "আমরা গ্রামে গোডাউনেও যাই। পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন। আমি নিজে ছিলাম। চক্ষু চড়ক গাছ। কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা গত এক মাস ধরে ভেজে রাখা হয়েছে। ২১ জুলাই মানুষ আসবে, কিনে খাবে জানে। তারা তো আর অভিযোগ জানাতে যাবে না। ছত্রাক পড়ে গিয়েছে ল্যাংচায়। সেগুলি খেলে অবধারিত মানুষ অসুস্থ হবেন। ল্যাংচা ভাঙছি, ভিতরে ছত্রাক। প্রতিটা এরকম। তিন কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করতে হয়েছে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে সেগুলি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি কয়েকজনের নামে। ফুড সেফ্টি অ্যাক্ট মেনে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।"
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭
ক্ষুব্ধ ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা
ল্যাংচা (Langcha Hub) ব্যবসায়ীরা বলেন, "এভাবে গ্রামে অভিযান বেআইনি। রোজ তো ল্যাংচা তৈরি করে বিক্রি করা যায় না। আগের দিন ভেজে রাখতে হয়। পরদিন রসে দিয়ে বিক্রি করি। এই যে বাড়ি বাড়ি গেলেন, তার তো কোনও সার্চ ওয়ারেন্টও ছিল না, পারমিশনও দেখাননি। এটা বাজে ব্যাপার হল। ল্যাংচা সমিতিতে জানানো হবে। আমরা অভিযোগ জানাব।" আরেক ব্যবসায়ী বলেন, "ল্যাংচা (Langcha Hub) রেখে বিক্রির প্রশ্নই নেই।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours