মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্টেবল’ তকমা আগেই জুটেছিল। এবার মিলল ‘পজিটিভ’ ছাপও। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংয়ের (S&P Global Rating) তরফে এভাবেই ‘গুণকীর্তন’ করা হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির। ভারতীয় অর্থনীতির এই বদল যে আসলে দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করে, তাও জানানো হয়েছে ওই রেটিং সংস্থার তরফে। বুধবার সংস্থার তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ভারতের ক্রেডিট রেটিং উল্লেখ করা হয়েছে ‘বিবিবি-’। ‘বিবিবি মাইনাস’ হল সর্বনিম্ন বিনিয়োগ গ্রেড রেটিং দেওয়া।
কী বলছে রেটিং সংস্থা? (S&P Global Rating)
সংস্থার (S&P Global Rating) তরফে বলা হয়েছে, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই আমূল বদলে যাবে ভারতীয় অর্থনীতির হাল। গত দশ বছরে ভারত সরকার যে অর্থনৈতিক সংস্কার করে চলেছে, তার জেরেই ক্রমেই উন্নত হচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। রেটিং ওই সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির দৃঢ় প্রবৃদ্ধি, তাৎপর্যপূর্ণভাবে সরকারি ব্যয়ে নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের অর্থনীতি মজবুত করার যে দৃঢ় অঙ্গীকার করেছে সরকার, তার জেরেই দেশের অর্থনীতির এই উৎকর্ষ সাধন। এস অ্যান্ড পি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি এই ফ্যাক্টরগুলি এবং ক্রেডিট মেরিটের সুফলই পাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” রেটিং সংস্থার মূল্যায়নকে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ‘‘এস অ্যান্ড পি-র সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আগামী বছরগুলিতে ভারতের মজবুত বৃদ্ধির হার এবং দেশের অর্থনৈতিক রূপরেখা প্রতিফলিত হচ্ছে।’’
S&P Global Ratings' revision of its outlook on India from 'stable' to 'positive' is a welcome development. This reflects India's solid growth performance and a promising economic outlook for the coming years.
— Nirmala Sitharaman (Modi Ka Parivar) (@nsitharaman) May 29, 2024
It has been possible due to the series of macroeconomic reforms…
আউটলুক পরিবর্তনের অর্থ
এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং (S&P Global Rating) হল একটি মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা। এটি এস অ্যান্ড পি গ্লোবালের একটি বিভাগ যা স্টক, বন্ড এবং পণ্যের ওপর আর্থিক গবেষণা ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।আউটলুক পরিবর্তন মানে আগামী দু’বছরে রেটিং আপগ্রেড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “বর্তমানে ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আর্থিক ঘাটতি, উচ্চ ঋণপত্র এবং করের বোঝা। তা সত্ত্বেও, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি অটূট।” সংস্থার আশা, আর্থিক ঘাটতির হার চলতি অর্থবর্ষে ৭.৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৮ অর্থবর্ষ নাগাদ ৬.৮ শতংশ হতে পারে। সংস্থাটির মতে, আগামী তিন বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার যদি ৭ শতাংশ থাকে, তাহলে অচিরেই জিডিপি ও ঘাটতির অনুপাত কমে আসবে। এস অ্যান্ড পি তাদের রিপোর্টে বলেছে, “ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী প্রতিফলিত করে যে অব্যাহত নীতিগত স্থিতিশীলতা, গভীরতর অর্থনৈতিক সংস্কার এবং উচ্চ পরিকাঠামো বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বজায় রাখবে।”
আর পড়ুন: সিএএ শংসাপত্র বিলির কাজ শুরু বাংলায়, বড় ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের
ভারতের অর্থনীতির ভিত যে ক্রমেই মজবুত হচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির অবস্থানেই। ২০১৪ সালের আগে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত ছিল ১০ নম্বরে। মোদি সরকারের দশ বছরের রাজত্বে ওই তালিকায় ভারতের জায়গা হয়েছে পাঁচ নম্বরে। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, আগামী এক বছরের মধ্যেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার চার নম্বরে। তার আগে থাকবে কেবলই আমেরিকা, চিন এবং জাপান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours