মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামাতে হবে। এরপর আবার তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে রয়েছে এবং সেখানেই অনড় থাকবে। গতকাল, ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭তম অধিবেশনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, "ইউক্রেনের সংঘাত ক্রমাগত উদ্বেগ সৃষ্টি করার কারণে, আমাদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমরা কার পক্ষে। আমরা প্রতিবার সহজ, সরল ও সৎ উত্তর দিয়ে এসেছি। ভারত শান্তির পক্ষে আছে এবং দৃঢ়ভাবে সেখানে থাকবে। আমরা সেই পক্ষে রয়েছি যারা রাষ্ট্রসংঘের সনদ এবং এর নীতিগুলিকে সম্মান করে। আমরা যুদ্ধ নয়, আলোচনা এবং কূটনীতিকে একমাত্র উপায় হিসেবে মনে করি।" অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রভাবের উপর জোর দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, "চলমান ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানীর ওপর।" ফলে এইসব কথা উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ব জুড়ে শান্তির জন্য এবং কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'যুদ্ধ থামান', রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের
অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের ৭৭ তম সাধারণ অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, কীভাবে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। তিনি এদিন পাকিস্তানের নাম না নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানে চিনের ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন তিনি। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ভারত আন্তঃসীামান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। ফলে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদের কোনও যৌক্তিকতা হয় না। সন্ত্রাসবাদ কখনও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। রক্ত কখনও কোনও সমস্যার উত্তর হতে পারে না বলেও তিনি মনে করেন। যাঁরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা আদতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনেন। কারণ যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই চিন লস্কর-ই- তৈবার জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী ঘোষণা করার আহ্বানে বাধা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা যায় যে ভারত এই আহ্বানে সমর্থন করেছিল। উল্লেখ্য, মীর ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মামলায় ওয়ান্টেড।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ঋণ, খাদ্য এবং জ্বালানী সুরক্ষার গুরুতর সমস্যাগুলি মোকাবেলায় নয়াদিল্লি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাজ করবে।
+ There are no comments
Add yours