মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো বছরে এই প্রথম! বিদেশি ঋণ (Foreign Debt) শোধে ব্যর্থ রাশিয়া (Russia)। ২৭ মে-র পর দেশটিকে আরও বাড়তি প্রায় এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও ঋণ শোধ করতে পারেনি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। দেশটিতে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে, বলশেভিক বিপ্লবের সময়।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। তার পর থেকে চার মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও, এখনও থামেনি যুদ্ধ। পুতিনের দেশকে সবক শেখাতে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ। তার পরেও দমানো যায়নি অদম্য রাশিয়াকে। যুদ্ধ চলছেই।
আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের
এর আগে অন্তর্দেশীয় ঋণ পরিশোধে সর্বশেষ রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে পরে রুবেলের সংকট দেখা দেওয়ায় এমনটা হয়েছিল। তবে সেই সময় অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধে অপারগ হলেও, বিদেশি ঋণ শোধ করেছে মস্কো। আর এখন বৈদেশিক ঋণ শোধ করতেই ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।
সূত্রের খবর, অনেক আগেই মস্কোর এই ঋণ শোধের কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিদেশি ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। ধার শোধের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ২৭ মে। সেবারও ঋণ শোধে অপারগ হওয়ায় সময়সীমা ফের বাড়িয়ে করা হয় ২৬ জুন। এদিনও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। জানা গিয়েছে, বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?
কী কারণে বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট। যার জেরে লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক ঋণ শোধে ফের একবার ব্যর্থ হল মস্কো। প্রসঙ্গত, এর আগে বলশেভিক বিপ্লবের সময় ঋণ শোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেনিন। একটি রাশিয়ান কোম্পানির বর্ষীয়ান কর্নধার হাসান মালিক বলেন, এটা খুবই, খুবই বিরল একটি ঘটনা। এখানে সরকার ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে বিদেশ শক্তির প্রভাবে। ইতিহাসে এই ঘটনা একটি যুগসন্ধিক্ষণ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
+ There are no comments
Add yours