মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় ৬০ বছরের পুরাতন চালকল (Rice Mill)। খাদ্য দফতরের আধিকারিকের প্রতারণায় চালকল বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ। চালকলের মালিক জানিয়েছেন, একদিকে মূলত আর্থিক প্রতারণা এবং অপর দিকে প্রশাসনিক চাপের কারণেই চালকল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগে তীব্র শোরগোল হুগলির গোঘাটে।
প্রধান অভিযোগ কী (Rice Mill)?
২০১৭ সালে খানাকুলের ঘোষপুর-রামপ্রসাদ সিপিসি ক্যাম্প থেকে কৃষকদের ধান কিনেছিল খাদ্য দফতর। কিন্তু সেই ধান হরগৌরী রাইস মিলের (Rice Mill) গোডাউনে পাঠায়। মিলের কম্পিউটারে ১৫০০ মেট্রিক টন ধান দেওয়া হয় বলে তথ্য লোড করা হয়েছিল। এরপর চাপ এবং ভয় দেখিয়ে বিক্রির কাগজে সই করিয়ে নেয় খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক। এমনকী ২৫০ মেট্রিক টন চালের টাকা খাদ্য দফতর আটকে দিয়েছিল। ফলে টাকা না পাওয়ায় বিষয় নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করে। আর তার ফলেই আর্থিক অভাবে রাইস মিল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
চালকল মালিকের বক্তব্য
হুগলির হরগৌরি চালকলের (Rice Mill) মালিক আশিসকুমার মণ্ডল বলেন, “পুরোপুরি খাদ্য দফতরের আধিকারিক প্রতারণা করেছে। যিনি পারচেজ অফিসার, তিনি ধান নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে কোনও টাকা আমরা পাইনি। অথচ ধান আমার নামে ইস্যু দেখিয়েছেন। পুলিশ নিজে চার্জশিটে লিখেছে বিষয়টি। আমাকে সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে, সবকিছুতে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। খাদ্য দফতরের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আজ বন্ধ আমাদের রাইস মিল।”
মহাকুমা কন্ট্রোলারের বক্তব্য
বিষয়টি নিয়ে মহকুমা কন্ট্রোলার অজিত মাইতি বলেন, “খাদ্য দফতরের ধান রাখার কোনও জায়গা নেই, যা কেনা হয় সব ধান রাইস মিলে চলে যায়। ২০১৭ সালে আমি ছিলাম না। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই মন্তব্য করব না।”
আরামবাগে মোট ১২০ টি রাইস মিল রয়েছে। বেশ কিছু মিল আর্থিক অনটনে ভুগছে। খাদ্য দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন ইতিমধ্যে। ফলে খাদ্য দফতরের কর্মীরা কোন উদ্দেশ্যে রাইস মিলগুলির (Rice Mill) সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours