মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘হয় আপনারা বেরিয়ে যান, নয়ত বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে’’, একথা বলতে গিয়ে একপ্রকার গলা ভিজে আসে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের। শেষ মুহূর্তে জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের বেশ কিছু শর্ত ত্যাগ করেন। তাঁরা রাজি হন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে (RG Kar)। তবে বেঁকে বসে প্রশাসন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র চিকিৎসকদের কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এমন অপমানের ঘটনা প্রমাণ করে, দুপুরে মাননীয়ার ধর্নাস্থলে যাওয়া নেহাত ছলনা ছাড়া কিছু নয়। মমতার বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে তাঁদের, এমন অভিযোগ ডাক্তারদের। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে এতটুকু দমে যাননি জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্নামঞ্চে ফিরে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। মমতা সরকার কতটা আন্তরিক আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের বিচার দিতে, সে প্রশ্নও তেলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার বলছে তারা দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছে, আর তাঁরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছেন। বৃষ্টিতে ভিজছেন।
কী বলছেন ডাক্তার নেতা দেবাশিস? (Junior Doctor)
শনিবারই জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) দেবাশিস হালদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, বৈঠকে যেন স্বচ্ছতা থাকে। আমরা এলাম। আসার পর বললাম লাইভ স্ট্রিমিং যেন করা যায়। কিন্তু ওঁরা বললেন, সম্ভব নয়। আমরা বললাম, অন্তত দু’পক্ষকে স্বচ্ছভাবে ভিডিয়ো করতে দেওয়া হোক। তাতেও বললেন, নাহ দুপক্ষকে ভিডিও করতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই ভিডিয়ো-র কপি। ওঁরা বললেন সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে তবে কপি দেওয়া হবে। আমরা এও বললাম যে, ভিডিওটা তো প্রমাণ হিসেবে আমাদের লাগবে (RG Kar)। আমরা তারপর আবার আলোচনা করলাম। মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে এসে বললেন, তোমরা চা খেয়ে যাও। তবে ভিডিও কিন্তু দেওয়া যাবে না। এটা বিচারাধীন বিষয়, ভিডিও পরে দেব। এই ঘটনার পর আবার আমরা আলোচনা করলাম। আমরা তাতেই রাজি হলাম। বললাম এইটুকুতেই রাজি। আমাদের ভিডিও দরকার নেই। আমরা বিশ্বাস রাখলাম।’’
ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল আমাদের
দেবাশিস আরও বলেন, ‘‘এরপর আমরা যখন রাজি হলাম যে ওই মিনিটসটুকু দেওয়া হোক, তখন হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভটাচার্য বললেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, আর সম্ভব নয়। আমরা দু-তিন ঘণ্টা ওয়েট করেছি। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নই। কিন্তু আমাদের বলা হল, হয় আপনারা বেরিয়ে যান। নয়ত বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে। তারপর নিজেরা গাড়়ি করে বেরিয়ে গেলেন। ওরা বলছে দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আর আমরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বৃষ্টিতে ভিজছি। আমরা আমাদের সমস্ত রকম শর্ত ছেড়ে দিলাম। তখন ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল। আমরা প্রথম থেকে স্বচ্ছতার (RG Kar) দাবি রেখেছিলাম।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours