মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনার পর প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত। তদন্তের দাবিতে আন্দোলন চলছে। বিচারের আশায় দিন গুনছেন আরজি করের (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বাবা-মা-পরিবার-পরিজন থেকে সবাই। তারই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের কথা শুনতেই ২৮ অগাস্টের পর ৬ সেপ্টেম্বর, ফের একবার নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। যদিও কী কথা হয়েছে, সে নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই।
কী কী নিয়ে আলোচনা
সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, আরজি কর-কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে যে সব সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁদের। এর আগে ২৮ অগাস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের (CBI) দুই আধিকারিক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, কিছু তথ্য সংগ্রহ করে চলে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাবা-মা দাবি করেছেন, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা। তদন্তকারীদের সঙ্গে আর কী কথা হয়েছে, তা বিশদে জানাতে চাননি নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে তদন্তের যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেই দাবি তোলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ১৪ অগাস্টের পর ৮ সেপ্টেম্বর, সেই রিমঝিমরা আবার ডাক দিলেন ‘মেয়েদের রাত দখল’-এর
বিরোধীদের দাবি
বুধবার রাতে আরজি করের (RG Kar Incident) আন্দোলনকারীদের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরা। সেই সূত্রে ঘটনার তদন্তের দাবি উঠেছিল। সূত্রের দাবি, এ ব্যাপারেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। বুধবার আরজি করে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার বাবার স্পষ্ট কথা ছিল, মেয়ের দেহ যখন দাহ করা হয়নি তখন বাড়িতেই ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা তাঁকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন! কিন্তু তিনি সেই টাকা নেননি। যদিও এই টাকা রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের টাকা কিনা তা স্পষ্ট করে বলেননি নির্যাতিতার বাবা-মা। এরপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, অবিলম্বে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। তারপরই নির্যাতিতার বাড়িতে ফের তদন্তকারীদের (CBI) উপস্থিতি ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours