মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নেমে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে। এগিয়েও গেলেন এক ধাপ। মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ী হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই একই আসনে ডেমোক্র্যাটদের তরফে জয়ী হয়েছেন আমেরিকার বর্তমান জো বাইডেন।
জয়ী ট্রাম্প
নিউ হ্যাম্পশায়ার আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প যেহেতু এই আসনে জয়ী হয়েছেন, তাই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেতে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার দৌড়ে তিনি এগিয়ে গেলেন বলে অভিমত মার্কিন মুলুকের রাজনীতির কারবারিদের। ট্রাম্পকে লড়তে হচ্ছে আরও একজনের সঙ্গে। তিনি তাঁরই অধস্তন নিকি হ্যালি। তবে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৪ শতাংশ ভোট গণনা করার পর জানা গিয়েছে, হ্যালির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump)।
ট্রাম্প জিতেছেন আইওয়া প্রদেশেও
নিউ হ্যাম্পশায়ার কেন্দ্রটির আগে ট্রাম্প জিতেছেন আইওয়া প্রদেশেও। এখানেও রিপাবলিকান পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাস্ত করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিউ হ্যাম্পশায়ারের গণনার সর্ব শেষ খবর, ট্রাম্প পেয়েছেন ৫২.৩ শতাংশ ভোট। আর হ্যালির ঝুলিতে পড়েছে ৪৬.৩ শতাংশ ভোট। ট্রাম্পের কাছে হার স্বীকার করে নিয়ে হ্যালি বলেন, “আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে আমার লড়াই জারি থাকবে। এই দৌড় এখনও শেষ হয়নি। গন্তব্যের এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।”
আরও পড়ুুন: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও
ট্রাম্প যে রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসবেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল একাধিক সমীক্ষায়। সেই সমীক্ষার ইঙ্গিতগুলি যে নিছক ইঙ্গিত নয়, তার প্রমাণ মিলল এই দুই প্রদেশে ট্রাম্পের জয়ে। তবে শেষতক ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ঢোকা হবে কিনা, তা বলবে সময়। কারণ, প্রাক্তন এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। অভিযোগও রয়েছে বিস্তর।
চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা মার্কিন সেনেট নির্বাচন। গত নির্বাচনে রিপাবলিকান ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। তবে হেরে গিয়েও বেশ কিছুদিন হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা বাইডেনের হাতে তুলে দেননি ট্রাম্প। তাঁর সমর্থকরাও ভাঙচুর চালিয়েছিল। সব মিলিয়ে বেশ খানিকটা বেকায়দায় ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে সাদা বাড়ির অন্দরে ঠাঁই হবে কার, সে বিষয়ে শেষ কথা বলবে মার্কিন জনতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours