মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের মতো চলতি বছরের রাম নবমীতেও (Calcutta High Court) রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। সব থেকে বড় ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, বেলডাঙা প্রভৃতি জায়গায়। হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। রাম নবমী সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবারই। রাম নবমীর অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকার ও পুলিশ সুপার আলাদাভাবে দুটি রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। এদিন হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ সেখানে বোমাবাজি ঘটনা কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
বোমাবাজির অভিযোগ
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শান্তিপুর এলাকায় যখন মিছিল যাচ্ছিল, তখনই বাড়ির ছাদ থেকে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি মিছিলে বোমাবাজিও করা (Calcutta High Court) হয়। এই ঘটনার বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গোটা এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে র্যাফ নামাতে হয়।
পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে
প্রসঙ্গত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে বহরমপুরের অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল। শুক্রবারই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে। জানা গেছে রাজ্যের রিপোর্ট দেখার পরে এনআইএকে এই বিষয়ে আলাদাভাবে একটি রিপোর্ট (Calcutta High Court) জমা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে।
উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির
এর আগেও এ নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল এবং তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের প্রয়োজন নেই। কে এই ঘটনায় প্ররোচনা দিল, তা জানা দরকার।’’
কী জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী
মামলাকারী আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু সরকার জানান, সিআইডি-র তরফে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেই রিপোর্ট দেখার পরই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। ১০ তারিখ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours