মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) ভারতের অর্থনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। সোমবার, এই অনুষ্ঠানটি বহু ইতিহাস সৃষ্টি করল। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে সামনে রেখে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। অনেকে একে "সনাতন অর্থনীতি"র ধারণা বলে অভিহিত করেছেন। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। দিল্লিতে নানা পণ্য বিক্রি করে আয়ের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা।
কীভাবে রেকর্ড আয়
কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) অনুসারে, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইতিমধ্যে ভক্তরা সারা দেশে নানা পণ্য বিক্রি করে ১.২৫ লক্ষ কোটি রুপি আয় করেছে৷ সিএআইটি এর জাতীয় সভাপতি বিসি ভরতিয়া এবং প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন,"ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বাস এবং ভক্তির কারণে ব্যবসার মাধ্যমে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজারে এসেছে। লক্ষণীয় বিষয় হল ছোট ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দ্বারা যে সমস্ত বাণিজ্য সংঘটিত হয়েছিল, তা অর্থনৈতিক বাজারে বিপুল সাফল্য এনেছে।"
আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?
হর ঘর অযোধ্যা অভিযানে সাড়া
খান্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির (Ram Mandir Inauguration) খোলার ফলে দেশে ব্যবসার জন্য অনেক নতুন সুযোগ এসেছে। বৃহৎ পরিসরে এর ফলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে "হর শহর অযোধ্যা, হর ঘর অযোধ্যা" প্রচারের অংশ হিসাবে, সারা দেশে ৩০ হাজারেরও বেশি ছোট এবং বড় ব্যবসায়িক সংগঠন ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসূচি পালন করেছে। এর ফলে রাম মন্দিরের মডেল, মালা, ঝুলন্ত সজ্জা-সহ নানা সামগ্রী বিক্রি হয়েছে সারা দেশে। হিন্দু পুরোহিতরাও অসংখ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণা’ হিসেবে যথেষ্ট পরিমাণ উপার্জন করেন। রেকর্ড সংখ্যক মিষ্টি ও শুকনো ফল বিক্রি হয় প্রসাদ হিসেবে। লাখ লাখ টাকার আতশবাজি, মাটির প্রদীপ, পিতল এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও সারাদেশে বিক্রি হয়। ইতিমধ্যেই উপহার হিসেবে রাম মন্দিরের মডেল বিক্রি হতে শুরু করেছে দেশ জুড়ে। পর্যটন-ব্যবসা তো রয়েছেই। তাই শীঘ্রই রাম মন্দির বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours