মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৫০০ বছরের আন্দোলনের পরে প্রতীক্ষার অবসান। রামলালার (Ramlala) মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী। অরুণ যোগীরাজের হাতে তৈরি রামলালার মূর্তিই এখন চর্চার বিষয়। রাজা রামের মাথায় হীরের মুকুট, কপালে টিকা, গলায় হার। ফুলের মালায় সুসজ্জিত হয়ে ২২ জানুয়ারি বিশ্ববাসীর সামনে আবির্ভূত হলেন তিনি।
রামলালার সাজের বর্ণনা
বালক রাম বা রামলালার হাতে রয়েছে সোনার ধনুক। সোনা, রুপো এবং হীরের গয়নায় বালক রামকে সাজানো হয়। বাল্মিকী রামায়ণের ভগবান রামচন্দ্রের যে মুকুট বর্ণনা করা হয়েছে, সেই ধাঁচের তৈরি মুকুটই পরানো হয়েছে রামলালাকে (Ramlala)। হীরের মুকুটে সোনার সঙ্গে সবুজ রঙের রত্নও নজরে পড়ছে। মুকুটের একেবারে মাথায় তিনটে পানের মত মূর্তি রয়েছে। যেখানে লাল এবং সবুজ মণি দেখা যাচ্ছে। মুকুটের মাঝখানেও একটি সবুজ রঙের মণি রয়েছে। রামলালার কানেও রয়েছে সোনার অলঙ্কার। রামলালার গলার চারপাশে বড় নেকলেসও দেখা যাচ্ছে। কোমরে রয়েছে কোমর বন্ধনী, যা হীরে সমেত লাল এবং সবুজ রঙের অন্যান্য রত্ন দিয়ে তৈরি হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী গর্ভগৃহে প্রবেশের পরেই খোলা হয় বিগ্রহের আবরণ। তার পরে হয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রামলালাকে যে মুকুট পরানো হয়, মন্দিরে সেটি নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই
রামলালার মূর্তির বর্ণনা
এই রামলালার (Ramlala) মূর্তিটি ৫১ ইঞ্চি লম্বা, চওড়া ৩ ফুট। ওজন প্রায় ২০০ কেজি। ভগবান রামকে দাঁড়িয়ে থাকা ভঙ্গিতে পাঁচ বছরের শিশু হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। কালো পাথরের তৈরি এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন মহীশূরের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। মূর্তির চালচিত্রে রয়েছে বিষ্ণুর দশাবতার--মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও কল্কি। মূর্তির একদিকে হনুমান ও অপর দিকে গরুড়। শুধু তাই নয়, মূর্তির যে মুকুট রয়েছে তাতে সূর্য, শঙ্খ, স্বস্তিক, চক্র ও গদা রাখা হয়েছে। মূর্তির প্রধান বিশেষত্ব হল, একটি কৃষ্ণশিলা দিয়েই এটি গড়া হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours