Raju Bista: তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট, বৈঠক প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা

তৃণমূলের মুখপত্রে আমাদের এই বৈঠককে 'নতুন সেট আপ' প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করছে, বললেন রাজু বিস্তা।
Raju_Bista
Raju_Bista

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর (Ashok Bhattacharya) বাড়িতে সোমবার কালীপুজোর সন্ধ্যায় যান বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই সাক্ষাতের একটি ছবি সামনে এনে তৃণমূল তাদের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, অশোক ভট্টাচার্যকে বাড়িতে গিয়ে বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক বলে এসেছেন, "সরকার ফেলে দেব। সঙ্গে থাকুন।" এই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও এই দাবিকে 'ঠুনকো' বলে অভিহিত করেছেন অশোক ভট্টাচার্য।   

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। একটি প্রেস রিলিজে তিনি বলেন, "তৃণমূলের জমানায় যেখানে সাধারণ সৌজন্য বিরল, সেখানে তৃণমূলের কর্মীরা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। শিলিগুড়ির বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র, প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে গতকাল আমার দীপাবলির শুভেচ্ছে বিনিময় হয়েছে। তৃণমূলের মুখপত্রে আমাদের এই বৈঠককে 'নতুন সেট আপ' প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। এ থেকেই তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট। তৃণমূল হয়তো ভুলে গিয়েছে প্রবীণদের সম্মান করা এবং উত্সবের সময় তাদের আশীর্বাদ চাওয়া আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ।" 

আরও পড়ুন: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো! 
 
তিনি আরও বলেন, "যখন আমাদের দেশ এবং বিশ্বজুড়ে মানুষরা দীপাবলি এবং কালীপুজো উদযাপন করছে, তখন অনেক তৃণমূল নেতা জেল খাটতে বাধ্য হয়েছেন। আরও অনেকেই সেই পথেই হাঁটছেন। কেউ শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায়, কেউ গরু চোরাচালান মামলায়, কেউ কয়লাপাচার মামলায়, কেউ ধর্ষণ ও কেউ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কারণে জেলে রয়েছেন। তৃণমূল নেতা- কর্মীদের ব্যাপক দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়ানোর মধ্যে দিয়েই তৃণমূল দলটির নীতি ও আদর্শ প্রতিফলিত হয়। আর এই কারণেই তৃণমূল নেতাদের একমাত্র উদ্দেশ্য সর্বদা ক্ষমতায় থাকা এবং জনসাধারণের তহবিল লুটপাট করা। আজ ওরা নিজের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন। এমনকি তাঁরা জানে, তাদের দুর্নীতি এবং অত্যাচারী শাসনের অবসান হতে চলেছে। জনসাধারণের তহবিল লুটপাট এবং নিরপরাধদের  হত্যা করে গড়া তাসের ঘরটি ভেঙে চুরমার হতে চলেছে। আর সেই কারণে তারা সবকিছুকে রাজনৈতিক রঙে রাঙিয়ে  দিতে মরিয়া। সবকিছুতে রাজনীতি না দেখে, কেন এমন শুভ উৎসবের সময়ও কেউ তাদের নেতাদের ডাকেনি সে সম্পর্কে তাদের ভাবা উচিৎ।"  

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles