মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার গুজরাটের কিম এবং কোসাম্বা রেল স্টেশনের (Railway Track) ট্র্যাক থেকে ৭০টিরও বেশি তালা এবং দুটি ফিশপ্লেট খোলা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। ফের আরও একবার ষড়যন্ত্রের চক্র ফাঁস হয়েছে। ঘটনায় ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বর্তমানে পুলিশে হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার মধ্যপ্রদেশ-উত্তর প্রদেশের রেল লাইন থেকে ১০টি ডেটোনেটর এবং একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহজনক রেল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
রেল লাইবনে সন্দেহজনক তিনজনকে অবস্থায় দেখা যায় (Railway Track)
গুজরাটের রেলকর্মী (Gujarat) সুভাষ পোদার, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলেন, “শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষ্য করি যে রেল লাইনের বেশ কয়েকটি তালা খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে দুটি ফিশপ্লেট-যা দুটি রেলওয়ে ট্র্যাককে সংযুক্ত করে, তাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিম এবং কোসাম্বা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সংলগ্ন রেললাইনে এই ঘটনা ঘটেছে। যখন টহল দিচ্ছিলাম তখন ট্র্যাকের কাছে তিনজনকে লক্ষ্য করি। তারা ভিডিও করছিল। এরপর ডাকাডাকি করলে সকলে পালিয়ে যায়।" এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ এবং এনআইএ আধিকারিকরা বলেন, "নাশকতার বিষয়ে তদন্ত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে পোদারের কথার সূত্রকে মিলয়ে দেখা হচ্ছে।"। তবে অন্য ট্রেনের লোকো পাইলট, ষড়যন্ত্র ফাঁসের কয়েক মিনিট আগে ট্র্যাকের উপর দিয়ে গেলেও কোনও ত্রুটি দেখতে পাননি। ১২৯৫২ দিল্লি-মুম্বই রাজধানী এক্সপ্রেস ভোর ৪.৫৩ এবং ৪.৫৮ টার মধ্যে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে অতিক্রম করেছিল। আবার পোদার অ্যালার্ম দেওয়ার প্রায় ২৫ মিনিট আগে ১৪৮০৮ দাদার জেইউ এক্সপ্রেস ১১০ কিলোমিটার গতিতে ৪.৩৮ থেকে ৪.৪৪ টার মধ্যে অতিক্রম করেছিল। সেই সময় সব ঠিকঠাক ছিল তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, রেলের লাইন থেকে মোট ৭১টি তালা খোলা হয়েছে। বেশ কিছু ফিশপ্লেটগুলি খুলে দেওয়া হয়। ট্রেন চালকরা দেখেছিলেন পার্শ্ববর্তী রেল লাইনের উপর পড়ে রয়েছে সরঞ্জাম । যদিও রাজধানী যাওয়ার সময় সেগুলি ঠিক জায়গাতেই ছিল। পরবর্তী সময়ে ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা
ধৃতদের বক্তব্য
তিনজন অপরাধী (Gujarat) নিজেদের কুকর্ম স্বীকার করেছেন তদন্তকারী অফিসারদের সামনে। এই রেলে নাশকতা কাজের জন্য টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা। তবে এই ঘটনায় মূলচক্রী কারা, কাদের নির্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে? অর্থ যোগান কারা করছে ইত্যাদি এই সব বিষয়ে তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য আগে উত্তরপ্রদেশে রেললাইন থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। রাজস্থানের আজমেরে মালগাড়ির লাইনের উপরে ফেলা হয়েছিল সিমেন্টের চাঁই। ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের উপর ফেলা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মোট ১৮বার ট্রেন লাইনকে বেলাইন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে উদ্বিগ্ন রেল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours