মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এত বেআইনি কারখানার হদিশ, এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও এ কেমন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের? এ তো বাজি (Firecracker Market) বিষয়কে উল্টে আরও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । রাজ্য সরকারের এক মাস ব্যপী বাজি বাজারের অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞমহলে। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর (এমএসএমই) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, চলতি বছরেও বাজি বাজার বসবে প্রতিটি জেলায়। তবে, অন্যান্য বারের মতো এক সপ্তাহ নয়, বাজার চলবে এক মাস ধরে!
বাজি-বাজার নিয়ে প্রশ্ন নানা মহলে
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজবজ থেকে এগরা, মালদহ থেকে দত্তপুকুর— একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় (Firecracker Market) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ছোট শিশু থেকে বাজি কারবারি মৃত্যুমিছিলের পর প্রশ্ন উঠেছিল আর কবে কড়া হবে প্রশাসন? কিছু জায়গায় বাজি নিয়ে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, এ বছর উৎসবের মরসুমে কি আর বাজি বাজারের অনুমতি দেবে সরকার? কিন্তু এতো উল্টো চাল! বাজি বিষয়কে রও উৎসাহ দেওয়া হলো। কি ভাবছে প্রশাসন? পরিবেশকর্মীদের বড় অংশেরই দাবি, এমন বাজার বসলে বেআইনি বাজির কারবার মাথাচাড়া দিতে পারে। ঘটতে পারে আরও বিস্ফোরণের ঘটনা।
আরও পড়ুন: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত
প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের মধ্যেও
বাজি বাজার নিয়ে প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের (Firecracker Market) মধ্যেও। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাজি বাজারের ৩০ দিনের জন্য ১০০ কেজি পর্যন্ত সবুজ বাজি ও ৫০০ কেজি পর্যন্ত ফুলঝুরি বিক্রির অনুমতি দিতে পারবেন জেলাশাসক। ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, অন্যান্য বার কলকাতায় যে বৈধ বাজি বাজার বসে, সেখানে এক-একটি স্টলে ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি রেখে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। তা হলে কি এ বার আরও বেশি বাজি মজুত রাখা যাবে? এত বিপুল বাজি নিয়ে বাজার চালাতে গেলে বিপদ ঘটবে না তো? উৎসবের মরসুমে কালীপুজো এবং বড়দিন মিলিয়ে যেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাজি ফাটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, সেখানে এত বেশি দিন বাজি বাজার বসতে দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে দূরদর্শিতার অভাব স্পষ্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours