মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ফের দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন খারিজ হল। পাশাপাশি এদিনই জেলবন্দি তৃণমূল নেতা, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ে সুকন্যার নামে-বেনামে থাকা ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করল ইডি। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার কারণ কী? আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে যাতে কোনও রকম আর্থিক লাভ না পেতে পারে অভিযুক্তরা, তাই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়।’’ বোলপুরে নিচুপট্টিতে তাঁর বাড়িটি পৈতৃক সম্পত্তি হওয়ায় সেটি অবশ্য বাজেয়াপ্ত করেনি ইডি। প্রসঙ্গত এর আগে কেষ্ট মণ্ডলের ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।
ইডির চার্জশিট...
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে নিজেদের হাতে আনতে ৩ মে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। বুধবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ইডির চার্জশিটকেই সিলমোহর দিল। অভিজ্ঞ আইনজীবীরা বলছেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন কেষ্ট মণ্ডল। তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?
কত টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল
ইডি সূত্রে জানা গেছে, মোট ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল বা ইডির হেফাজতে গেল। এর মধ্যে রয়েছে অনুব্রত, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থা মিলিয়ে মোট ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ের নামে থাকা বেশ কয়েকটি জমি, ভোলে ব্যোম, শিব শম্ভু রাইস মিল এসবই এখন ইডির দখলে রয়েছে। শুধু তাই নয়, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি এবং কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) যৌথভাবে থাকা ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তির দখলও এখন ইডির হাতে।
বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির লভ্যাংশ কে পাবে?
অভিজ্ঞ আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, যখন এই ধরনের বাজেয়াপ্ত হয়, তখন অভিযুক্তের সম্পত্তির লভ্যাংশ সরকারের কাছে যায়। ধরা যাক কোনও অভিযুক্তের হোটেল, রেস্টুরেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে কোনও তদন্তকারী সংস্থা। তাহলে সেই হোটেল বা রেস্টুরেন্ট কিন্তু বন্ধ হবে না, বরং সেটা যেমন চলছিল তেমন চলবে। শুধু তার লভ্যাংশ জমা পড়বে সরকারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours