মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে মসজিদে প্রার্থনার সময় ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ১৫০ জন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মসজিদের একাংশ ভেঙে পড়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকেই চাপা পড়েছেন। যদিও কত জন ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে রয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে তা জানা যায়নি।
নামাজের সময় হামলা
সোমবার দুপুরে পেশোয়ারের পুলিশ লাইন এলাকায় একটি মসজিদে ১টা ৪০ মিনিটে প্রার্থনার সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, এক আত্মঘাতী হামলাকারী আচমকা মসজিদে ঢুকে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। সেই সময় মসজিদে নামাজপাঠ চলছিল। তাই মসজিদে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় বহু মানুষকে উদ্ধার করতে দেখা যাচ্ছে। পেশাওয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হতাহতদের। সিকন্দর খান নামে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের জেরে মসজিদের একাংশ ভেঙে পড়েছে। তার নীচে অনেকেই চাপা পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।’’ বিস্ফোরণের পর ওই মসজিদের আশপাশের গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ।
⚡ Pakistan: Blast inside the Mosque near most secured Police Lines in Peshawar.
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) January 30, 2023
One side of the mosque has collapsed.
More than 50 injured. Death numbers not known yet. Emergency declared in nearby hospitals pic.twitter.com/F9VF5a3a4d
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাক নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদসরা। পুরো এলাকাটিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নামাজের আগে উপালকদের মধ্যেই মিশে ছিল হামলাকারী। নামাজপাঠ শুরু হওয়ার পরই, সে তার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ভরা জ্যাকেটে বিস্ফোরণ ঘটায়। এখনও কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: আসন্ন পাকিস্তানের উপনির্বাচন, ৩৩ আসনেই লড়বেন ইমরান খান
গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে বারংবার হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি জঙ্গি সংগঠন। এমনকি চলতি মাসের শুরুতেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আফগান সীমান্তবর্তী গিলগিট, বালটিস্তান, পাক পঞ্জাব প্রদেশ-সহ এক বিরাট এলাকাকে তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেছিল তালিবান। এমনকি, প্রতিরক্ষা, বিচার, তথ্য, রাজনীতি বিষয়ক, অর্থনীতি বিষয়ক, শিক্ষা, ফতোয়া, গোয়েন্দা এবং পরিকাঠামো-সহ একাধিক মন্ত্রক ও বিভাগ ঘোষণা করেছিল তারা। এই হামলার পিছনে তারা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কী প্রকৃতি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা চলছে। সরকারিভাবে হতাহতের কোনও সংখ্যা প্রকাশ না করা হলেও, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours