Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

Shehbaz Sharif: করাচির চিনা দূতাবাসে পাক প্রধানমন্ত্রী! পাকিস্তান কি চিনের উপনিবেশ?...
parliament_-_2024-11-09T162351254
parliament_-_2024-11-09T162351254

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে ডাকা হয়েছিল। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস (PMO) জানিয়েছে, করাচিতে আহত দুই চিনা নাগরিকের সুস্থতা কামনা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তাই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে, সাধারণত কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের দূতাবাসে যান না।  কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সে দেশে নিযুক্ত অন্য দেশের দূতাবাস থেকে! এটা সত্যই বিস্ময়ের! সব জায়গায়, রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সরকার, এখানে উলটপূরাণ। সরকারকে কার্যত তলব করছে দূতাবাস। চিন যে পাকিস্তানকে কব্জা করে ফেলেছে, এটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

পাকিস্তান কি চিনের উপনিবেশ!

চলতি বছর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বুধবার (৬ নভেম্বর) চিনা দূতাবাসে যান। করাচির সাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় চিনা নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে তাদের আহত করা হয়। চিনা নাগরিক ওয়াং জিং ঝং, ঝেং লুয়েন, ঝোউ বাওলিন এবং ওয়েই সিক্সিয়ান করাচির লিবার্টি মিলসের কাছে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে গিয়েছিলেন। চিনা নাগরিকরা প্রতিদিন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাঁদের সুরক্ষা দিত একটি বেসরকারী সংস্থা এবং সিন্ধ পুলিশ স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট (SPU)। এই ঘটনার পরই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে যান। 

আরও পড়ুন: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

পাকভূমে চিনের সেনা

চিনা রাষ্ট্রদূত জিয়াং জেইডংকে শাহবাজ বলেন, “আমি এখানে চিনা নাগরিকদের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানাতে এবং আহতদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে এসেছি। আমি নিজে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া তদারকি করছি এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, চিন হচ্ছে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু। তাই কুশল জানতেই তাঁর যাওয়া। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পাকিস্তান চিনের একটি উপনিবেশের মতো হয়ে উঠেছে, যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীকে সময়ে সময়ে ডেকে চিন তাদের অভাব-অভিযোগ জানায়। অনুমান, পাক-ভূমে চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান ব্যর্থ হওয়ায়, চিন এখন নিজের সশস্ত্র বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles