মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর রাত যত বাড়ল ততই চলতে থাকল শহরে শব্দবাজির তাণ্ডব (Pollution in Kolkata)। দুর্গাপুজো থেকেই শুরু হয়েছিল শব্দবাজির দাপট, লক্ষ্মী পুজোতেও তা অব্যাহত ছিল। কালীপুজোতে যে একই তাণ্ডব চলতে পারে সে আশঙ্কা ছিলই, তবে প্রশ্ন উঠছে তার পরেও প্রশাসনিক মহল থেকে কেন কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল না? শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হন পুরো শহরবাসী।
বাতাসে মিশছে বিষ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজি থেকে ভয়ানকভাবে বেড়েছে দূষণের (Pollution in Kolkata) পরিমাণও। বাতাসে মিশছে বিষ। হিসাব বলছে, কালীপুজোর রাত ১১টা পর্যন্ত সব থেকে অবস্থা খারাপ ছিল বালিগঞ্জের। বাতাসের দূষণকণা এবং বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাপ মাপা হয় পিএম-২.৫ এর মাধ্যমে। দেখা যাচ্ছে রাত্রি আটটায় বালিগঞ্জে পিএম-২৫ এর মান প্রতি ঘনমিটারে ছিল ১৫০। রাত ৯টায় তা বেড়ে হয় ৩৮০। রাত ১০টায় তা দাঁড়ায় ৪৩২। রাত ১১টায় সেই মান দাঁড়ায় ৪৩৮। অন্যদিকে, হাওড়া জেলার ঘুসুড়ির ছবি বালিগঞ্জকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। রাত ১১ টায় ৫০০ ছুঁয়েছে পিএম-২.৫ এর মান। হাওড়ার বেলুড়ের অবস্থাও খারাপ। রাত এগারোটায় পিএম-২.৫ এর মান ৫০০তে পৌঁছায়। অর্থাৎ পিএম-২৫ এর মানের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে কীভাবে কালীপুজোর রাতে (Pollution in Kolkata) বাতাসে বিষাক্ত রাসায়নিক কণা কত অল্প সময়ে, কত বেশি পরিমাণে মিশেছে। সারা রাজ্যের চিত্রটাই কম বেশি একই, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, দক্ষিণবঙ্গের দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো শহরেও বাতাসে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশেছে।
কী বলছেন বাজি কারিগররা?
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে পরিসংখ্যান (Pollution in Kolkata) দিচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শব্দের তাণ্ডব উঠেছে ৮৫.৪ ডেসিবেলে। সাধারণভাবে এই মান থাকার ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কলকাতার বেশিরভাগ এলাকা থেকেই অভিযোগ আসতে শুরু করে কালীপুজোর রাতে। প্রতিটি এলাকার বাসিন্দারাই শব্দবাজির তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এদিকে বাজির আগুনে ট্রাক পুড়ে যাওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, কামালগাজিতে সার্দান বাইপাসের নিচে পার্কিং করা ছিল একটি ট্রাক। হঠাৎ বাজির আগুনে এসে লাগে ট্রাকের ত্রিপলে এবং সেখানে আগুন ধরে যায়। বাজি সংগঠনের পক্ষ থেকে, সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানিয়েছেন, আগে বাজি তৈরীর প্রধান উপাদান ছিল বেলিয়াম বা সোডা, গন্ধক এবং কাঠকয়লা। তবে এখন ঐ বেরিয়াম বা সোডার পরিবর্তে এক ধরনের বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এই বেরিয়াম ছাড়া শব্দবাজিকেই সবুজ বাজি বলা হয়। সবুজবাজিতে দূষণের মাত্রা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours