মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের কীর্ণাহারে সিপিআইএমের নেত্রীদের হেনস্থা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার নানুর বিডিও অফিসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিআইএম নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় পথ আটকে তাদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে নানুর ও কীর্ণাহার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছে। বীরভূম জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে নানুরে। এদিন, কীর্ণাহার থেকে নানুর ব্লক অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিআইএমের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাঁশ-লাঠি নিয়ে পথ আটকায় তৃণমূলের লোকজন। সিপিআইএমের নেত্রীদের হেনস্থা সহ অন্যান্য কর্মীদের মারধর করা হয়। ইট ছুঁড়ে ভেঙে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। নানুরে সিপিআইএমকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার স্পষ্ট বলছেন বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া যাবে না। মানুষকে ভোটাধিকার দিতে হবে। তারপরেও বীরভূমের দিকে দিকে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা, মারধর, হেনস্থার অভিযোগ উঠে আসছে।
কী বললেন আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী?
সিপিআইএম প্রার্থী সুনয়নী ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েতে নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে নানুরে যাচ্ছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন আমাদের রাস্তাতেই আটকায়। প্রথমে ফিরে যাওয়ার কথা বলে। আমরা আপত্তি জানালে আমাদের মারধর করা শুরু করে। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে ওরা। তৃণমূলীদের হামলার কারণে আমরা আর মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। সকলেই ফিরে আসি। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূলের জেলার কোর কমিটির নেতা কাজল সেখ বলেন,‘‘যাঁরা আজ বামেদের উপর হামলা চালিয়েছেন, তাঁরা কেউই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য নন। যাঁরা আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের দলে থাকারও কোনও অধিকার নেই। আমি পুলিশকে বলেছি, তারা যাতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours