মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিযোগিতার বাজারে ফিরে আসতে চাইছে নোকিয়া (Nokia New Logo)। আর তারই পদক্ষেপ হিসেবে ৬০ বছর পর লোগো বদলে ফেলল নোকিয়া। বিশ্বের মোবাইল বাজারে একাধিপত্য আর নেই তাদের। জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। আগের গৌরব ফিরে পেতেই কোম্পানির লোগো।
প্রযুক্তি অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সেই প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে নোকিয়া। প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের ফিরিয়ে আনতে তাই পুরোনা ভাবধারা থেকে এবার বেরিয়ে আসতে চলেছে নোকিয়া। দীর্ঘদিনের আইকনিক লোগোতে (Nokia New Logo) তাই বদল আনা হল। এই পরিবর্তনের জন্যে বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন নোকিয়া প্রেমীরাও। বহু বছর ধরে দুর্দান্ত মোবাইল ফোন বাজারে আনার জন্য পরিচিত নোকিয়া। বর্তমানে অন্যান্য নতুন কোম্পানির তুলনায় নোকিয়ার মোবাইল ফোন বিক্রি কমেছে। এখন কোম্পানি তাদের লোগো পরিবর্তন করে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে।
নতুন নোকিয়া লোগোতে পাঁচটি ভিন্ন আকৃতি রয়েছে। যা থেকে "NOKIA" শব্দটি (Nokia New Logo) গঠিত হয়েছে। আগে কোম্পানির লোগোতে শুধু নীল বোল্ড ও জেনেরিক লেটার ছিল। কিন্তু এখন ব্যবহারকারীরা লোগো অনেক বেশি রঙিন এবং রয়েছে নতুনত্বও। মূলত, কোম্পানি যে নতুন কিছু করতে যাচ্ছে, তা বোঝাতেই এই নতুন লোগো বলে মনে করছে টেক ব্লগাররা।
আরও পড়ুন: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশেরই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের
এই বিষয়ে কোম্পানির সিইও পেক্কা লুন্ডমার্ক বলেছেন, ''কোম্পানি এখন আর কেবল স্মার্টফোন উৎপাদনকারী হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে চায় না। আমরা এখন একটি বাণিজ্যিক প্রযুক্তি কোম্পানি হিসাবে নিজেদের তুলে ধরব। নোকিয়া এখন বিভিন্ন ব্যবসায়িক বিকল্পে বিনিয়োগের সঙ্গে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।"
বদল স্ট্র্যাটেজিতেও!
বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের আসরে পেক্কা জানিয়েছেন, নোকিয়ার (Nokia New Logo) দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন আর শুধু মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা নয়, নোকিয়ার মূল লক্ষ্য এখন টেলিকম ও অন্যান্য ব্যবসায় গিয়ার সাপ্লাই করা। যেখানে নোকিয়ার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছে মাইক্রোসফ্ট ও আমাজনের মতো সংস্থারা।
পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ভারতে দ্রুত জায়গা তৈরি হচ্ছে এই ধরনের মোবাইলের। বাড়ছে চাহিদা। এ বছরের দ্বিতীয় পর্যায়েই উত্তর আমেরিকায় ভালো বাজার দখল করে ফেলতে পারবে নোকিয়া। তেমনটাই আশা সংস্থার সিইও-র। শুধু আমেরিকা নয়, খুব শিগগিরই ইউরোপেও সেই বাজার ধরে ফেলবে বলেই আশাবাদী ফিনল্যান্ডের এই সংস্থাটি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours