মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দিনে ভারতে পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ির সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাবে বলে বিশ্বাস করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। ভারতকে সবুজ অর্থনীতিতে পরিণত করাটা শক্ত হলেও অসম্ভব নয় বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাইব্রিড গাড়িতে জিএসটি কমানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ৩৬ কোটির বেশি পেট্রল-ডিজেল গাড়ি রয়েছে ভারতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, জৈব জ্বালানির উপর জোর দিয়ে জ্বালানি আমদানি কমাতে পারে সরকার। কেন্দ্রের এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
কী বললেন গডকরি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, জ্বালানি আমদানির জন্য ১৬ লাখ কোটি টাকা খরচ করে ভারত। এই টাকা কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে, গ্রামগুলোকে সমৃদ্ধ করা এবং যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এখনও কোনও দিন নির্দিষ্ট করেনি কেন্দ্র। হাইব্রিড গাড়ির উপর জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। হাইব্রিড গাড়ির পাশাপাশি ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন চালিত গাড়িতে জিএসটি কমিয়ে ১২ শতাংশ করতে পারে কেন্দ্র সরকার। এই প্রস্তাব ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো-আরতি চলবে, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
জৈব জ্বালানিকে স্বাগত
পরিবেশ দূষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে রেখে দেশের গাড়ি বাজারে আমূল পরিবর্তন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানান, “এই পরিবর্তনের জন্য আমি আপনাদের কোনও তারিখ দিতে পারব না। এটা করা শক্ত তবে অসম্ভব নয়।” তিনি আশাবাদী যে হারে বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসতে শুরু করেছে তাতে আগামীদিনে বিকল্প জ্বালানি এবং জৈব জ্বালানির স্বপ্ন পূরণ হবে। তিনি আরও জানান, বাজাজ, টিভিএস, হিরো মটোকর্পের মতো সংস্থার ইতিমধ্যে ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন চালিত মোটরসাইকেল এবং রিকশা বানানো শুরু করে দিয়েছে। ফলে আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়িকে ছাপিয়ে শীঘ্রই যে ইলেকট্রিক গাড়ির দাপট শুরু হবে তা বলাই যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours