মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গি মডিউলের খোঁজে সারা দেশের ছয়টি জেলায় ১৩টি জায়গায় (13 premises raided in six states) চালাল এনআইএ (NIA)। তল্লাশি চলে মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায়। এদিন ভোর থেকে তল্লাশি শুরু হয়। কর্ণাটকের ভাটকল এবং উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দেও চলে বিশেষ তল্লাশি অভিযান। প্রচুর গোপন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত জুন মাসে নানা জায়গা থেকে খবর পেয়ে এব্যাপারে নতুন কেস নথিভুক্ত করেছিল এনআইএ।
আরও পড়ুন: জঙ্গির গুলিতে নিহত 'শহিদ' অ্যাক্সেলকে শেষ বিদায় ভারতীয় সেনার
নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। যার পরেই মামলা দায়ের করে এনআইএ। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং রেসিনে এদিন তল্লাশি চালান হয় বলে জানায় এনআইএ। অন্যদিকে বিহারের আরারিয়া এবং মহারাষ্ট্রের দুটি জায়গায়া তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, সেইসব জায়গায় যারা থাকেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! রাতভর অভিযানে নিকেশ লস্কর জঙ্গি
তল্লাশি চলে গুজরাটের ভারুচ, সুরাট, নবসারি এবং আহমেদাবাদেও। তল্লাশির পর এখনও পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা কী ধরনের কাগজপত্র এবং নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে বিশদে জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। আইআইএস-এর মডিউলের খোঁজে এর আগেও দেশের বহু প্রান্তে তল্লাশি চালানো হয়। কিছুদিন আগেই উত্তরপূর্বের রাজ্য আসামে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তল্লাশি চলে দিল্লি, কেরলেও। সময় বিশেষে বাংলার সীমানাতেও অভিযান চালায় এনআইএ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশে জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি যোগ রয়েছে। এরা স্থানীয় মুসলিম যুবকদের নিশানা করছে। এব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখান থেকেই যুবকদের মধ্যে নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। যুবকদের নির্দিষ্ট করার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কখনও কখনও সেই প্রশিক্ষণ চলে দেশের বাইরেও। শেষে আক্রমণের পরিকল্পনা।
+ There are no comments
Add yours