মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হ্যালো, লোন চাই? লটারি জিতেছেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কিংবা ক্রেডিট কার্ড চাই? দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচটি এই জাতীয় কল আমরা পাই ফোনে। তবে এই ফোন কলগুলির পেছনে কারা, তা আমরা জানতে পারি না। কে লটারির টিকিট বেচছেন, কেই বা ক্রেডিট কার্ড বিক্রি করছেন তাঁদের আমরা চিনি না। তাই ভুয়ো ফোনকলের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই জাতীয় কলের ফাঁদে পড়ে আপনি যাতে সর্বস্ব না খোয়ান, তাই টেলিকম বিল ২০২২ (Telecom Bill 2022) আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt.)। এই বিলের মূল লক্ষ্যই হল, উপভোক্তাদের ভুয়ো ফোন কলের হাত থেকে রক্ষা করা।
শুক্রবার টেলিকম বিল ২০২২ এর খসড়া প্রকাশ্যে আনেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। যদিও বিলে অনেক কিছুই রয়েছে, তবে সব চেয়ে বড় বিষয়টি হল মোবাইল ব্যবহারকারীদের রক্ষাকবচ দান। এতদিন অপরিচিতি কোনও ব্যক্তি ফোন করলে, তাঁর পরিচয় জানতে ব্যবহার করতে হত ট্রু-কলার অ্যাপ। নয়া বিল আইনে পরিণত হলে, আর প্রয়োজন হবে না তার। টেলিকম মন্ত্রী জানান, নয়া বিল আইনে পরিণত হলে কে ফোন করছেন, তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। এভাবে রোখা যাবে প্রতারণা।
আরও পড়ুন : বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই পাশ হবে তথ্য সুরক্ষা বিল, আশা অশ্বিনী বৈষ্ণবের
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, যখন আমি টেলিকম বিলটি প্রস্তুত করছিলাম, আমি মোবাইল ব্যবহারকারীদের সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। তিনি জানান, মোবাইল ব্যবহারকারীদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চূড়ান্ত খসড়ায় সেগুলি যোগ করা হবে বলেও জানান তিনি। কেবল মোবাইল কিংবা ল্যান্ড লাইন ফোন ব্যবহারকারীরাই যে এই সুবিধা পাবেন, তা নয়। মন্ত্রী জানান, ফেস রিডিং, ফেসটাইম, জুম কল, হোয়াটসঅ্যাপ কল সব ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীরা প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা কার সঙ্গে কথা বলছি, তাঁর সম্পর্কে জানার অধিকার আমাদের আছে। নয়া টেলিকম বিলের খসড়ায় টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারের কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করা হবে। মন্ত্রী বলেন, আলাপ আলোচনার পরে আমরা খসড়া চূড়ান্ত করব। পরে সেটি সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে যাবে। তার পর যাবে সংসদে। সব মিলিয়ে ছ থেকে ১০ মাসের সময়সীমা ধরে রেখেছি আমরা।
+ There are no comments
Add yours