Modi Putin Meet: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হবে...
ankita_(2)
ankita_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit 2022) যোগ দিতে সমরখন্দে (Samarkhand) গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আগামিকাল, শুক্রবার উজবেকিস্তানে (Uzbekistan) আলাদা করে বৈঠক করতে চলেছেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। ক্রেমলিন সূত্রেই এ খবর জানানো হয়েছে। পরস্পর বন্ধু  এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বাণিজ্য এবং ভারতীয় বাজারে রাশিয়ান সারের সম্পৃক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। একটি বিবৃতি জারি করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারে রাশিয়ান সারের সম্পৃক্তি ও খাদ্য সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হবে দু দেশের মধ্যে।

স্ট্র্যাটেজিক স্টেবিলিটি, এশিয়া-প্যাশিফিক অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রসংঘ (United Nations) ও জি-২০তে (G-20) দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ান নিউজ এজেন্সি তাস জানিয়েছে, মোদির সঙ্গে পুতিনের বৈঠকে আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিস্থিতি, রাষ্ট্রসংঘ, জি-২০ এবং এসসিও-য় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে। প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উষাকভ বলেন, দুই দেশের এই সব বিষয়ে আলোচনা হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ডিসেম্বরে ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করবে। ২০২৩ সালে ভারত নেতৃত্ব দেবে এসসিও-র। ওই বছরই ভারতের সভাপতিত্বে হবে জি-২০ বৈঠকও।

আরও পড়ুন : বৈঠক হবে শেহবাজ, শি-র সঙ্গে? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে আজই সমরখন্দে প্রধানমন্ত্রী

ক্রেমলিনের তরফে এসব বলা হলেও, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও মোদি-পুতিন বৈঠকের (Modi-Putin Meet) ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে দুই দেশের এই বৈঠকটি যে গুরুত্বপূর্ণ তা মানছে আন্তর্জাতিক মহলও। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine Russia War) আবহে রাশিয়া (Russia) থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত (India)। আমেরিকা সহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই রাশিয়া থেকে ওই তেল কিনছে নয়াদিল্লি। ভারত যে জ্বালানির জন্য চড়া দর দিতে অপারগ, সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ, যেখানে মাথা পিছু আয় দু'হাজার মার্কিন ডলার। তাই আমরা চড়া দরে জ্বালানির মূল্য চোকাতে পারব না। তিনি বলেন, এটা আমার বাধ্যবাধকতা এবং নৈতিক কর্তব্য যে যেখানে কমে পাব, সেখান থেকেই জ্বালানি কিনব। তিনি বলেন, ভারতের এই অবস্থানের কথা জানে আমেরিকাও।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles