মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বহু টাকার লেনদেনের অভিযোগ আনল ইডি। বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য তৈরি করা হয়েছিল রেটচার্ট। ইডির দাবি, ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দরে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই পুর দুর্নীতির তদন্তের জন্য রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাড়ে ১৯ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত পৌনে ২টোয় মন্ত্রীর বাড়ি ছাড়েন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
কত টাকায় চাকরি
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, " একটি রাজ্যে ‘ক্যাশ ফর জব’ এর ঘটনা ঘটেছে। যুবসমাজকে ধ্বংস করা হয়েছে। রেস্তরাঁর মতো সরকারি চাকরির সব পদে ‘রেট কার্ড’ রয়েছে সেখানে। সেই রাজ্যে চাপরাশি, ড্রাইভার, শিক্ষক, নার্স— সব পদে চাকরির জন্য বাঁধা দর রয়েছে।" এই রেট কার্ডেই এদিন আলোকপাত করেন ইডির অফিসারেরা। তাঁদের দাবি, পুরসভায় শ্রমিক, গাড়ির চালক, সাফাইকর্মী, পুরসভার গ্রুপ ডি-র চাকরির দাম ছিল ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৭ লক্ষ টাকা। পুরসভার টাইপিস্টের চাকরির রেট শুরু ৭ লক্ষ টাকা থেকে।
আরও পড়ুন: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল
কেন রথীনের বাড়িতে তল্লাশি
পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের নানা প্রান্তে ১৪টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি। দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন। ইডি সূত্রে খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন নথিতে রথীনের নাম বার বার উঠে এসেছে। ইডির দাবি, ২০১৪-র পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান। টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে, কীভাবে পৌঁছেছে, সেই খতিয়ে দেখাই তাদের উদ্দেশ্য। রথীনের বাড়ি ছাড়াও বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার দফতরে হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। এ ছাড়াও ১০ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে বরাহনগর, সল্টলেক-সহ মোট ১২টি জায়গায় তাদের তল্লাশি অভিযান চলেছে। এই অভিযানের ফলে তদন্তে সহায়ক নানান নথি মিলেছে বলে দাবি ইডির।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours