মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার পাকিস্তানের মুলতান (Multan Pakistan) শহরের এক হাসপাতালের (Nishtar Hospital) ছাদ থেকে উদ্ধার হল শত শত পচাগলা মৃত দেহ (Decomposed Dead Bodies)। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃত দেহের সংখ্যা ৫০০- ও ছাড়িয়ে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, মুলতানে নিশতার হাসপাতালের মর্গের ছাদ থেকে শত শত দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটতার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে আপাতত উত্তাল সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মুলতানের নিশতার হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত ছাদে পড়ে রয়েছে শত শত মৃতের দেহাংশ।
Hundreds of bodies were recovered from #Punjab #Nishtar Hospital.
— Salih Mohammad Salih (@salihyam) October 14, 2022
Reporters say many corpses have had their chests ripped open and their human organs removed. #pakistan pic.twitter.com/HEV7jHatjR
আরও পড়ুন: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর
সূত্রের খবর, হাসপতালের ছাদে একটি নির্মিত ঘরেই দেহ গুলি পড়েছিল। মৃতের সংখ্যা নিয়ে সরকার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, খবর আসে হাসপাতালের ছাদে রয়েছে পচা গলা দেহ। তারপরই তিনি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। তখনই তাঁকে এক ব্যক্তি মর্গে যেতে বলেন। তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রথমে তাঁকে মর্গে ঢুকতে দিতে রাজি হয়নি হাসপাতালের কর্মীরা। জোর করে মর্গে ঢুকে ছাদ থেকে দেহগুলি উদ্ধার করেন। দেহগুলিকে চিল-শকুনে ছিড়ে খাচ্ছিল। বেশ কিছু দেহতে পোকাও লেগে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। সেখানে নারী ও পুরুষদের দেহ উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। দেহগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল কিনা তাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ জানতে চান ওই সরকারি আধিকারিক। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, মেডিক্যাল ছাত্রদের কাজে লাগে দেহগুলি।
প্রসঙ্গত, মানুষ নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে শীর্ষে পাকিস্তান। প্রতি বছরই গড়ে ২ হাজারের ওপর মানুষ নিখোঁজ হয় সেখানে। ২০২১ সালে প্রায় ৮ হাজার মানুষ হারিয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী ৬৫০০ বালোচ ও ৫ হাজার পাশতুন নিখোঁজ হয়েছে গত এক বছরে। মৃতদেহগুলি বালোচ বা পাশতুনদেরও হতে পারে বলে অনুমান। কারণ পাকিস্তান নিরাপত্তারক্ষীরা বালোচ এবং পাশতুনদের গুম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই। জানা গিয়েছে, দেহগুলির গঠন অনেকটা পাহাড়ি মানুষের মত হওয়ায় সন্দেহ বেড়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করার আশ্বাস দিয়েছে পাক প্রশাসন।
+ There are no comments
Add yours