মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী গৌতম আদানিকে (Gautam Adani) হারিয়ে ফের এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা ফিরে পেলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)।
এই মুহূর্তে আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৯.৭ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৯৮.৭ বিলিয়ন ডলার। গোটা বিশ্বের নিরিখে এই দুই ধনকুবেরের স্থান যথাক্রমে অষ্টম এবং নবম। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্ক। দুই, তিন, চার নম্বরে রয়েছেন জেফ বেজোস, বার্নার্ড আর্নল্ট ও বিল গেটস।
গত এপ্রিলে এই তালিকাতেই চার নম্বরে ছিলেন গৌতম আদানি। কিন্তু এবার সেই তালিকায় অনেকটাই নীচে নেমে এলেন তিনি। গত বেশ কয়েক মাস ধরেই আম্বানি ও আদানির মধ্যে চলছে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা জেতার লড়াই। কখনও আম্বানি শীর্ষে থেকেছেন, কখনও আবার সেই স্থান কেড়ে নিয়েছেন গৌতম আদানি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের
করোনার সময়ে গৌতম আদানির খুব দ্রুত গতিতে উত্থান হয়েছিল। গত এপ্রিলেই তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছিল ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে এবার সেই পরিমাণ এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা কমেছে। আর সে কারণেই তালিকাতে এই পতন। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর থেকেই আম্বানির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করে আদানি গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম বাড়তেই একদিনে ৯৮.৬ মিলিয়ন ডলার ঢুকেছে আম্বানির পকেটে। আর তাতেই এই উত্থান। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনাপ্রবাহকে কাজে লাগিয়েই ফুলে ফেঁপে উঠেছে রিলায়েন্স গ্রুপ। দেশের ১০ জন ধনকুবেরদের নয়া তালিকায় আদানি দুই নম্বরে থাকলেও, ২০২১ সালে আদানির সম্পদের পরিমাণ ২৬১ শতাংশ বেড়েছে!
বিশ্বের ধনকুবেরদের একটি তালিকা প্রতিবছর প্রকাশ করে একটি বেসরকারি সংস্থা। ধনকুবেরদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখে তারা। তাদের মতে, মুকেশের সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি ৫৯ লক্ষ মার্কিন ডলার বেড়েছে, অন্যদিকে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ কোটি ৯৬ লক্ষ মার্কিনর্কি ডলার বেড়েছে।
শুক্রবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (BSE) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার মূল্য ৩ শতাংশ বেড়েছে। বিগত দুদিনে শেয়ারের দর মোট ৭% বেড়েছে। ২০২২ সালে রিলায়েন্স শেয়ারের মূল্য সব মিলিয়ে ১৬.৬১ শতাংশ বেড়েছে এবং গত বছর এই শেয়ার থেকে ২৭ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া গিয়েছিল। মার্চ মাসে কোম্পানির ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল এই সংস্থা ২২.৫ শতাংশ মুনাফা করেছে যার মোট পরিমাণ ১৬ হাজার ২০২৩ কোটি টাকা। গত বছর মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। গত বছর সংস্থার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। এক কথায় গোটা বছর ধরে লাভের মুখ দেখেছে আম্বানির গোষ্ঠী।
+ There are no comments
Add yours