মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র দেড় বছর। এই ছোট্ট বয়সে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলে চমক দিল শিলিগুড়ির (Siliguri) মৃগাঙ্ক শেঠ। এই বয়সে শিশুরা আদো আদো স্বরে দু'একটি শব্দ বলার চেষ্টা করে। সেখানে মৃগাঙ্ক দেহের বিভিন্ন অঙ্গ,প্রতঙ্গ, নানা ধরনের ফুলফল, শাকসবজি, কীটপতঙ্গ ও পাখির নাম অবলীলায় বলে দিচ্ছে। এই বিস্ময়কর প্রতিভার কারণে মৃগাঙ্কের নাম ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে উঠেছে।
ছোট্ট মৃগাঙ্কর প্রতিভা জানলে চমকে যাবেন (Siliguri)
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির (Siliguri) দক্ষিণ দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা মৃণাল শেঠ ও মালবিকা শেঠের সন্তান মৃগাঙ্ক। ছ'-সাত মাস বয়সেই সে কথা বলতে শেখে। একদিন পরিবারের সদস্যরা খেয়াল করেন, কিছু শব্দ ও কথা মৃগাঙ্ক নিজের মনে বলে চলেছে। তারপর নানাভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দেখা যায়, যে কোনও শব্দ একবার শুনলে তা মনে রেখে পরে তা অনায়াসে বলছে। তারপর ওকে পাখি, ফুলফল, রঙ, বিভিন্ন জিনিসের নাম পড়ানো শুরু করা হয়। বেশ কিছুদিন পরে সেগুলি জিজ্ঞেস করলে নির্ভুলভাবে বলে দিচ্ছে। এভাবেই মৃগাঙ্ক ১০টি পাখির নাম, একুশ রকমের জিনিস, চার রকমের পতঙ্গ, চার রকমের মাছ, সতেরো রকমের সবজি, ২১ টি প্রাণী, এগারো রকমের ফলের নাম এবং ১৬৯ টি শব্দ ইংরেজি থেকে বাংলায় তর্জমা করতে পারছে। ১ থেকে ১৫ বাংলা এবং ইংরেজিতে অবলীলায় বলে দিচ্ছে সে।
কীভাবে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম তুলল সে?
মৃগাঙ্কের বাবা মৃণালালবাবু বলেন, এত কম বয়সে ছেলের এই প্রতিভা দেখে আমরা বিস্মিত হয়ে যাই। প্রতিবেশিরাও ভিড় করতে থাকে তার এই প্রতিভা যাচাই করতে। একদিন ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি সেখানে নাম তুলতে গেলে কী কী করতে হবে। সেই মতো আমি আমার ছেলের এই প্রতিভার নানা মুহূর্ত ভিডিও রেকর্ডিং করে পাঠাই। তারপর সেখান থেকে আমার ছেলের এই প্রতিভা যাচাই করে তাঁরা স্বীকৃতি দিয়ে শংসাপত্র ও মেডেল পাঠিয়ে জানায় আমার ছেলের নাম ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে। মৃনালবাবু ও তার স্ত্রী চান, সেই বিস্ময় প্রতিভা নিয়ে মৃগাঙ্ক স্বাভাবিক ছন্দে বেড়ে উঠুক। কোনও কিছুর চাপে যেন তাদের শিশু সন্তানের এই সহজাত প্রতিভা নষ্ট না হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours