Haryana: মেয়ে সিবিএসই বোর্ডে ১০০% নম্বর পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় মা, পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান অঞ্জলি।
Anjali_Yadav
Anjali_Yadav

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিএসই বোর্ডের (CBSE Board) দশম শ্রেণির (10th Result) পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর! সন্তানের এ হেন ফলে খুশির সাগরে ভাসবেন যেকোনও অভিভাবক৷ কিন্তু হরিয়ানার (Haryana) অঞ্জলি যাদবের (Anjali Yadav) বাড়িতে ধরা পড়ল সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি৷ মেয়ের দুর্দান্ত রেজাল্টেও দুশ্চিন্তায় অঞ্জলির মা৷ কী করে মেধাবী মেয়ের উচ্চশিক্ষার খরচ যোগাবেন সেই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে৷ নুন আনতে পান্তা ফুরোয় যে পরিবারের, সে পরিবারে মেধাবী হওয়াও যেন এক বিলাসিতা।

আরও পড়ুন: সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ফল প্রকাশিত, পাশের হার ৯৪.৪০%

অঞ্জলির বাবা চাকরি করতেন প্যারামিলিটারিতে৷ ২০১০ সালে এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন৷ শারীরিক অক্ষমতার কারণেই ২০১৭ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন৷ ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে৷ পরিবারে একমাত্র রোজগেরে অঞ্জলির মা। খানিকটা জমি আছে। কিন্তু তাতে প্রয়োজন মেটে না। এই পরিবারে উচ্চ শিক্ষিত হওয়া যেন এক দিবা স্বপ্ন৷ কিন্তু সেই স্বপ্নই এবার সত্যি হতে চলেছে। উচ্চ শিক্ষার জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন অঞ্জলি। কথা রেখেছেন হরিয়ানা মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। করে দিয়েছেন অঞ্জলির বৃত্তির ব্যবস্থা৷

আরও পড়ুন: দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল সিবিএসই, পাশের হার ৯২.৭১%     

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar) যখন অঞ্জলিকে ভিডিও কলে শুভেচ্ছা জানান, তখন তাঁকে অর্থিক সমস্যার বিষয়ে জানান ওই পড়ুয়া৷ মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বৃত্তির (Scholarship) ব্যবস্থা করে দেন৷ সেইসঙ্গে জানান, ভবিষ্যতে তাঁর পড়াশোনায় সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার৷ বৃত্তির ঘোষণার পর যারপরনাই খুশি অঞ্জলি। বার বার ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। 

ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান অঞ্জলি। পড়তে চান দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান দিল্লি এইমসে। সেই স্বপ্নই এবার উড়ান দেওয়ার পথে।  

শিলারপুরের বাসিন্দা অঞ্জলি পড়েন ইন্ডাস ভ্যালি পাবলিক স্কুলে৷ তাঁর মা জানিয়েছেন, "অত্যন্ত পরিশ্রমী অঞ্জলি। কঠোর পরিশ্রমের কারণেই মেয়ের এই রেজাল্ট।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের এই অর্থনৈতিক অবস্থায় মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী যখন ফোন করে শুভেচ্ছে জানান, তখন আমরা আমাদের অবস্থার কথা তাঁকে জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর এই সাহায্যের জন্যে আমরা কৃতজ্ঞ।"

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles