মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একরোখা মনোভাব ত্যাগ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে পরামর্শ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজুকে (Mohamed Muizzu) তাঁর পূর্বসূরি রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাঁর অবস্থানের দৃঢ়তা ত্যাগ করার এবং দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বার্তালাপ করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে কথাবলার জন্য অনুরোধ করেছেন। মালদ্বীপের এই আর্থিক সমস্যা মোকাবেলার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কী বললেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি?
এদিন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সোলিহ ভারতের সাথে ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনায় জন্য বর্তমান রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুকে (Mohamed Muizzu) পরামর্শ দেন। সোলিহ যুক্তি দিয়েছেন যে মালদ্বীপের আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি প্রাথমিকভাবে চীনের পাওনা ঋণ থেকেই মূলত তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, “ভারতের তুলনায় মালদ্বীপের ঋণ চীনের কাছে দ্বিগুণেরও বেশি। মালদ্বীপকে সাহায্য করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিবেশী ইসলামিক দেশগুলির ইচ্ছার প্রতিও আস্থা প্রকাশ করে কথাবার্তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।” এই প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রাপ্ত সীমিত সহায়তা বলতে ৫০ টন খেজুর মাত্র। আর কিছুই লাভ হয়নি। আমাদের একগুঁয়ে হওয়া বন্ধ করে সংলাপের জন্য চেষ্টা করতে হবে। অনেক দেশ আছে, যারা আমাদের সাহায্য করতে পারে। কিন্তু মুইজ্জু আপোস করতে চান না। আমি মনে করি বর্তমান সরকার এখন এই পরিস্থিতি বুঝতে শুরু করেছে। তাই পদক্ষেপ জরুরি দেশের জন্য।”
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি
মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে এবং পরে ভারত সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভারতীয় সামরিক সেনা নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্যে করেছিলেন তিনি। চার মাস আগে দায়িত্ব নেওয়া সত্ত্বেও, মুইজ্জু এখনও ভারত সফর করেননি। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিদের ভারতে প্রথম বিদেশ সফরের ঐতিহ্যকে ভেঙে মুইজু তার প্রথম সফর উপলক্ষে জানুয়ারি মাসে চীন গিয়েছিলেন। তার ভারত বিরোধী বক্তব্য সত্ত্বেও, মালদ্বীপকে ভারত ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসাবে স্বীকার করে ঋণ-ত্রাণ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। গত বছরের শেষ নাগাদ মালদ্বীপকে ভারত প্রায় ৪০০.৯ মিলিয়ন ঋণ দিয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours