মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (sedition law) নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে জানাল নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। সোমবার একটি হলফনামায় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২৪-এ (বিদ্রোহ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে নানা সময় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আদালতে কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল যে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলে রাজি নয় তারা। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল (A-G K.K. Venugopal) জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অন্তর্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন। মামলার শুনানি পর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল সাম্প্রতিককালে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপপ্রয়োগের দৃষ্টান্তও তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের জন্যও অযৌক্তিকভাবে ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দেশে নানা সময় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত মামলাও হয়েছে বিভিন্ন সময়। তাই প্রয়োজন ছিল একটি নির্দেশিকার। যে নির্দেশিকার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্টও। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ঔপনিবেশিক আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর এই আইনের অপব্যবহারের দিকের কথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিল, এক সময় যে ঔপনিবেশিক আইন ব্যবহার করে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) ও লোকমান্য তিলকের (Lokmanya Tilak) মতো নেতাদের নিপীড়ন করা হয়েছিল, এখনও সেই আইন কেন প্রয়োগ করা হবে? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ (এ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours