মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2022) আগে কলকাতায় এসেছেন অভিনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রথমেই নিজস্ব ঢঙে কথা বললেন ‘মহাগুরু’। এখন একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে জেরবার রাজ্য প্রশাসন। শাসক দলের এক-এক জন শীর্ষস্থানীয় নেতার কেলেঙ্কারি ফাঁস হচ্ছে। গরাদের পিছনে হেভিওয়েটরা। এই নিয়ে এদিন তৃণমূলকে বিঁধলেন মিঠুন। শনিবার হেস্টিংসে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ‘ফাটাকেষ্ট’।
সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ লাগছে। ৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি। আর কামাতেও পারলাম না।’’ তবে সেই সঙ্গেই মিঠুন বলেন, ‘‘আমি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করি না। কার নীচে, কত টাকা পাওয়া গেল, যাঁর টাকা তিনি বলতে পারবেন।’’
আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?
দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটে স্থানীয় সাংসদ সুকান্তর এলাকার নিউটাউন পল্লী পাঠাগারে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা মিঠুনের। বিজেপির অভিযোগ, জেলা সার্কিট হাউসে মিঠুনকে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে বলেন, ‘‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি।’’ তবে, বাঙালির পুজো নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুজো সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। হাজারো কষ্টের মধ্যে বাঙালি উৎসব পালন করবে।’’
জুলাই মাসে কলকাতায় এসে মিঠুন বলেছিলেন, তৃণমূলের অনেক নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন এসে সেই কথা ফের জানালেন তিনি। বললেন, ‘‘আই স্ট্যান্ড বাই। এখনও বলছি, তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’ যদিও তাঁরা কারা, সে বিষয়ে তিনি কোনও খোলসা করেননি।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও
শুক্রবারই শহরে পা রেখেছেন মিঠুন। রাতেই তিনি ট্রেনে রওনা দেবেন মালদহের উদ্দেশে। সেখান থেকে গাড়িতে যাবেন বালুরঘাট। সোমবার সকালে শিয়ালদহ পৌঁছবেন মিঠুন। উঠবেন নিউটাউনের হোটেলে। মঙ্গলবার সকালে আরামবাগের পুজো সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা মহাগুরুর।
+ There are no comments
Add yours