মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁকসা থানার (Paschim Bardhaman) রঘুনাথপুরের কাছে সাব স্টেশনে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতি। অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ দফতরের তিন কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ, যার মধ্যে এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়। গুরুতর আহত এক কর্মীকে দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মঙ্গলবার।
বিদ্যুৎ দফতরে (Paschim Bardhaman) কী ঘটে ছিল?
রঘুনাথপুর (Paschim Bardhaman) বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত্রি ১১ টা নাগাদ হঠাৎ একদল উত্তেজিত দুষ্কৃতি সাব স্টেশনের ভেতরে ঢুকে অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তাদের বাধা দিতে গেলে সেখানে কর্মীরা আক্রান্ত হয়। তবে ঠিক কী কারণে বিদ্যুৎ দফতরে ভাঙচুর এবং হামলা হয়েছে, তা দফতরের আধিকারিকরা কেউ জানাতে পারেনি।
বিদ্যুৎ দফতরের বক্তব্য
বিদ্যুৎ দফতরের (Paschim Bardhaman) এক আধিকারিক দীপঙ্কর লাহিড়ী জানান, আমরা এই ভাঙচুরের ঘটনার বিরুদ্ধে থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবো। কিন্তু কে বা কারা, এই ঘটনা ঘটালো, তিনি তা কিছুই জানাতে পারলেন না। তবে তিনি এটাও বলেন, পাওয়ার তো সঠিক সময়ে অন করাই ছিল, তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল? এই প্রসঙ্গে শ্রী লাহিড়ী বাবু আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে বলবো। ঘটনায় আক্রান্ত এক কর্মী সোমনাথ ঘোষ বলেন, রাত্রি সাড়ে এগারটা নাগাদ ১০-১২ জনের একদল, একটি ছোট হাতিতে করে এসে অফিসে হামলা চালায়। তারপর হাতে লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে এসে আমাদের তিন জনকে খুব মারধর করে। দুষ্কৃতিরা বলে, তারা কাকপাড়া থেকে এসেছে। দুষ্কৃতিদের কাছে সোমনাথবাবু এখানে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা বলে, এক ঘণ্টা ধরে কেন বিদ্যুতের তার কেটে রাখা হয়েছে? আর এর পরেই সোমনাথবাবুকে এবং বাকি দুই কর্মীদের উপর ব্যাপক মারধর করে। পরে এই আক্রমণের খবর পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ এসে পৌঁছায়।
ঘটনার প্রতিবাদে কর্ম বিরতি
বিদ্যুৎ দফতরের (Paschim Bardhaman) কর্মীদের মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার দিন সকাল থেকে কর্ম বিরতির ডাক দেয় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে কাঁকসা থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। পুরো ঘটনার তদন্ত এখন পুলিশ করছে বলে জানা গেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours