মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্টের সমস্যা না থাকার পরেও এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Ration Scam)। এনিয়ে প্রশ্ন উঠতেই চাপে পড়ে রাতারাতি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে রাখা হয় কার্ডিওলজিস্টকে। অসুস্থতার কথা বলতেই এসএসকেএম-এ বেড পেয়ে যান বালু এবং কালীঘাটের কাকু। অথচ সাধারণ মানুষের জন্যই এই এসএসকেএম-এর চত্বরে অন্য চিত্র দেখা যাচ্ছে। জরুরি বিভাগের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোগী কিন্তু বেড নেই। এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে জনগণ। সরকারি হাসপাতাল তো অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্যই। কিন্তু সেখানে এমন দ্বিচারিতা কেন? বালুর চিকিৎসার (Ration Scam) জন্য ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে পারে এসএসকেএম। প্রায় সমস্ত বিভাগের ডাক্তাররাই রয়েছেন বোর্ডে। বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের পরে তিন মাস বেডে শুয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অথচ সাধারণ মানুষের জন্যই বারবার অবহেলার অভিযোগ উঠছে এসএসকেএম-এর বিরুদ্ধে। আর এতেই ক্ষোভ দানা বাঁধছে রোগী এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে।
এসএসকেএম-এর খণ্ড চিত্র
একটি চিত্র দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। বৃহস্পতিবার সকাল ছটা। এসএসকেএম-এর জরুরি বিভাগের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় এক রোগীকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ডায়ালাইসিস হয় এই রোগীর। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই পেটে এবং বুকে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা শুধুমাত্র যন্ত্রণা কমানোর ইনজেকশন দিয়েই দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। সুমিতা দেবীকে শুয়ে থাকতে দেখা যায় স্ট্রেচারের উপরেই। জরুরি বিভাগের ভিতরেও জায়গা মেলেনি। অসুস্থ এই রোগী তাই বলেই ফেলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে, ‘‘আমরা তো গরু-ছাগল।’’ এরপরে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে কোনও রকমে বেড পান তিনি। সেটি এসএসকেএম-এর সহযোগী শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে, নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে। এমন আরও অসংখ্য চিত্র দেখা যায় এসএসকেএম হাসপাতালে।
‘‘বালু কেমন আছেন?’’ প্রশ্ন শুনে হাসছেন ডাক্তাররা
এদিকে, মন্ত্রীমশাই কেমন আছেন? বা কোন কোন রোগের উপসর্গ রয়েছে তাঁর? এসব প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলছেন চিকিৎসকরা। হাসি যেন তাঁদের থামছেই না। প্রশ্ন হল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তো ভাবছে গুরুতর অসুস্থ বালু। তাইতো তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হল কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে (Ration Scam)। সংবাদমাধ্যমের সামনে এক চিকিৎসক বলেই ফেলেন, ‘‘আমরা কিছু বলবো না।’’ এরপরে এক সংবাদমাধ্যম চিকিৎসকদের প্রশ্ন করেন, ‘‘আর কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে?’’, তখন এক চিকিৎসক তাঁর সহকর্মীকে আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করলেন। আর সেই চিকিৎসক বললেন, ‘‘আমাদের কিছু বলার নেই’’, অর্থাৎ বালু কেমন রয়েছেন তা জানা গেল না যেটা পাওয়া গেল সেটা চিকিৎসকদের হাসি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours