মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিষেবা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালেন 'নিশ্চয় যান/ মাতৃযান' চালক ও মালিকরা। রবিবার এমনই চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যার জেরে সমস্যায় রোগী সহ তাঁদের আত্মীয় পরিজনেরা।
কেন পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন? (Raiganj)
রায়গঞ্জ (Raiganj) গভর্নমেন্ট ও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে 'নিশ্চয় যান' বা 'মাতৃযান'-এর সংখ্যা বর্তমানে ১১ টি। উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ৯৩টি মাতৃযান বা নিশ্চয় যান আছে। অভিযোগ, মালিক সহ চালকেরা দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বিল পাচ্ছেন না। ফলে, চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চালকদের বেতন ৩ হাজার টাকা। নিশ্চয় যান বা মাতৃযানের জন্য কিলোমিটার প্রতি ৮ টাকা করে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতর থেকে। তার মধ্যে বর্তমান বাজারে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বেশি হওয়ায় ওই টাকা দিয়ে চালানোয় সমস্যায় পড়ছেন মালিক থেকে চালকেরা। তারই প্রতিবাদে ১লা ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন মালিক এবং চালকেরা। ফলে, চরম সমস্যায় পড়েছেন জেলার প্রসূতি মা থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়রা।
মাতৃযান গাড়ির চালক ও মালিকেরা কী বললেন?
মাতৃযান চালক দেবাশিস মজুমদার বলেন, গত ৮ মাস ধরে মালিকরা আমাদের বেতন দিচ্ছেন না। বেতন দেওয়ার কথা বললে তাঁরা বলছেন তাঁদের বিল আটকে আছে। সে কারণে আমরা পরিষেবা বন্ধ রেখেছি। কারণ টাকা না পেলে কি করে গাড়ি চালাবো। খুব সমস্যার মধ্যে আছি। কী করবো বুঝতে পারছি না। বিকল্প কিছু করার চেষ্টা করছি। এক মাতৃযান গাড়ির মালিক দিলীপ সরকার জানিয়েছেন, গত ৮ মাস ধরে বিল আটকে আছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে টাকা ঢুকছে না। পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনিতেও আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গত এক মাস আগে লিখিতভাবে স্বাস্থ্য দফতর জানানো হলেও এখনও তার কোনও সুরাহা হয়নি। সেই কারণেই বেতন দিতে পারছি না।
চরম বিপাকে রোগীরা, কী বললেন পরিবারের লোকজন?
এ ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা। মনোজিৎ সরকার নামে এক রোগীর আত্মীয়া বলেন, আমার মেয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি আছে। হাসপাতাল থেকে ছুটিও দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, মাতৃযানের অভাবে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছি না। কারণ বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে ৩ হাজার টাকা চাইছে। অত টাকা নেই।
রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?
রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। জেলা স্বাস্থ্য ও আধিকারিক আমাকে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা বন্ধ রয়েছে তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। তবে, আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours