মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোট বানচাল করাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানে ব্যর্থ হল ষড়যন্ত্র। পুলিশ ও আধাসেনা নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম (Maoists Killed) অন্তত পাঁচ সন্দেহভাজন মাওবাদী। নিহতদের মধ্যে তিন মহিলাও রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এক পুলিশকর্মীও এই অভিযানে আহত হয়েছেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড় সীমানা লাগোয়া মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) দক্ষিণ গড়চিরোলি এলাকার ভমরাগড়ের কোপরি লাগায়ো একটি জঙ্গলে।
মাও দমনে সক্রিয় যৌথবাহিনী
মহারাষ্ট্র (Maharashtra) পুলিশের দাবি, ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার সীমানা লাগোয়া ভমরাগড় জঙ্গলে সোমবার সকালে গুলির লড়াইয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সঙ্গে সি-৬০ কমান্ডোদের সংঘর্ষ (Maoists Killed) শুরু হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় অতিরিক্ত বাহিনী। যৌথবাহিনীকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গুলির লড়াই চলতে থাকে। একটা সময়ের পর মাওবাদীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। তাদের বেশিরভাগ সদস্যই ওই অস্থায়ী শিবির ছেড়ে পালিয়ে যায়। গড়চিরোলি জেলার পুলিশ সুপার নীলোৎপল জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে আসা খবরের ভিত্তিতে এদিন ওই জঙ্গলে মাওদমন অভিযান চালানো হয়।
কেন এই অভিযান
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিধানসভা ভোট। ২৩ নভেম্বর গণনা। ভোটের আগে ছত্তিশগড় ও তেলঙ্গানার সীমানা ‘সিল’ করা শুরু হয়েছে বলে মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রের খবর। গড়চিরোলি জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, আসন্ন বিধানসভা ভোটের সময় নাশকতার উদ্দেশ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) ওই দলটি ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশন থেকে সীমানা পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে ঢুকেছিল। সেই খবর পেয়ে এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ২০টি সি-৬০ এবং দু’টি সিআরপিএফ ইউনিট। ভোটের আবহে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাতেই মাওবাদীরা ওই জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল। ইতিমধ্যেই আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ বয়কটের ডাক দিয়েছে তারা। এমনকী, যদি কোনও ব্যক্তি তাদের এই 'নির্দেশ' অমান্য করেন, তাহলে তাঁকে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল মাওবাদীরা। তবে, বাহিনীর তৎপরতায় তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours