Mangaluru: তামিলনাড়ুতে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের চক্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল মহম্মদ শারিক?

বিস্ফোরণের রিহার্সাল দিয়েছিল বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা...
karnatak_accused
karnatak_accused

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) অটোরিক্সা বিস্ফোরণের মূল চক্রী মহম্মদ শারিক। তার সঙ্গে তামিলনাড়ুর যোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, শারিক নিজে কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণে (Coimbatore Blast) অভিযুক্ত জামেসা মুবিনের সঙ্গে গত সেপ্টেম্বরে দেখা করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) সিরিঙ্গানেল্লুরে তারা দুজনে সাক্ষাৎ করেছিল।  

মেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ...

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুতে (Mangaluru) বিস্ফোরণের জেরে একটি অটোরিক্সায় আগুন ধরে যায়। অটোর যাত্রী ও চালককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম অটোচালক দাবি করেন, অটোর এক যাত্রীর ব্যাগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেনসিক টিম। নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরে জানা যায়, ওই ব্যাগের ভিতরে ছিল একটি প্রেশার কুকার। যেটি ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল। 

আরও জানা গিয়েছে, শারিক কোয়েম্বাতুরে একটি ডর্মেটরিতে থাকত। সেখানকারই সুরেন্দ্রন নামে একজনের নামে কেনা সিমকার্ডও ব্যবহার করত। সেই সুরেন্দ্রন অবশ্য এখন পুলিশি হেফাজতে। সুরেন্দ্রন ছাড়া শারিক কোয়েম্বাতুরে আর কার কার সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সুরেন্দ্রন কেন তাকে সিম কার্ড ব্যবহার করতে দিল, তাও জানতে চাইছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত মেঙ্গালুরু অটো বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত

দীপাবলির ঠিক আগের দিন বিস্ফোরণ ঘটে কোয়েম্বাতুরে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল জামেসা মুবিনের। ওই বিস্ফোরণে শারিকের কোনও হাত রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মুবিনের ছয় সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হয়েছে ইউএপিএ ধারায়। ঘটনার মূলে পৌঁছতে এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করে শারিকের ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে।

এদিকে, সইদ ইয়াসিন, মাজ মুনির আহমেদ এবং শারিক এই তিনজনে মেঙ্গালুরু (Mangaluru) বিস্ফোরণের রিহার্সাল দিয়েছিল বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা। শিবামোগ্গা জেলার তুঙ্গা নদীর তীরে মহড়া দিয়েছিল তারা। সেখানে বিস্ফোরণ সফলও হয়েছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। মূল অভিযুক্ত শারিক ইসলামিক স্টেটের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান তদন্তকারীদের। আইসিসের কয়েকজনের সঙ্গে সইদ ইয়াসিন ও মুনির আহমেদের যোগাযোগও শারিক করে দিয়েছিল বলেই জেনেছেন গোয়েন্দারা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles