মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহ-সিংহীর নামকরণ করার দায়ে সাসপেন্ড করা হল ত্রিপুরার এক বনকর্তাকে। সিংহ-সিংহীর নামকরণ (Lion Akbar Lioness Sita) বিতর্কের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। কেন সিংহের নাম আকবর রাখা হয়েছে, কেনই বা সিংহীর নাম সীতা, একই এনক্লোজারে কেন রাখা হয়েছে তাদের এসব প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
ভিএইচপির দাবি
তাদের দাবি, রাজ্যের বন দফতর সিংহ ও সিংহীর নামকরণ করেছে। একই এনক্লোজারে রেখে অবমাননা করেছে ধর্মের। হাইকোর্টে করা মামলায় যুক্ত করা হয়েছে রাজ্যের বন দফতর ও জলপাইগুড়ি সাফারি পার্কের ডিরেক্টরকে। বিতর্ক এড়াতে রাজ্যকে নাম বদলের পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
কী বলছে আদালত?
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ভট্টাচার্যের বেঞ্চের মন্তব্য, “কারা (Lion Akbar Lioness Sita) এই নাম রেখেছেন? এত বিতর্ক কারা তৈরি করছেন? কোনও পশুর নাম কি কোনও দেবতা, পৌরাণিক নায়ক, স্বাধীনতা সংগ্রামী অথবা নোবেলজয়ী ব্যক্তির নামে রাখা যায়? সিংহ ও সিংহীর নাম আকবর ও সীতা রেখে শুধু শুধু বিতর্ক ডেকে আনা হয়েছে। এই বিতর্ক এড়ানো যেত। শুধু সীতা নয়, আকবর নামটিও রাখা উচিত নয়। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের মহান সম্রাট ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ ও ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজ্যের উচিত ছিল এই ধরনের নামের বিরোধিতা করা।”
আরও পড়ুুন: “স্বপ্ন পূরণে দিনরাত কাজ করে চলেছে ভারত”, রেলের অনুষ্ঠানে বললেন মোদি
প্রসঙ্গত, ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজলা জুলজিক্যাল পার্ক থেকে শিলিগুড়ির সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয় ওই সিংহ দম্পতিকে। বাংলার বন দফতর জানিয়ে দেয়, ওই সিংহ-সিংহীর নামকরণ করা হয়েছে ত্রিপুরায়ই। এমতাবস্থায় শনিবার ত্রিপুরার মুখ্য বন সংরক্ষণবিদ (বন্যপ্রাণ ও পর্যটন) প্রবীণ লাল আগরওয়ালকে সাসপেন্ড করেছে ত্রিপুরা সরকার। সাসপেন্ডেড ওই বনকর্তার কাছে সিংহ-সিংহীর এমনতর নামকরণের কারণ জানতে চেয়েছে ত্রিপুরা সরকার। যদিও সিংহ যুগলের (Lion Akbar Lioness Sita) এহেন নাম দেননি বলেই দাবি তাঁর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours