মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। রাজ্যজুড়ে এই দিন শিবের মাথায় জল ঢালতে সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে মন্দিরে। তারকেশ্বর মন্দিরে তো লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভক্তদের ভিড়ে পিছিয়ে নেয় নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস মন্দির। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়়ে।
কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ (Nadia)
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ১৭৫৪ সালে নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস গ্রামে (Shibnibas) শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শিবমন্দিরসহ তিনটি মন্দির তিনি তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে দুটি শিবের মন্দির রয়েছে। আর একটি রাম-সীতার মন্দির। শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৯ ফুট। স্থানীয়ভাবে বুরো শিব বা পুরাতন শিব নামে পরিচিত। শিবনিবাস গ্রামের নামটি এলাকায় শিব মন্দিরের প্রাচুর্য থেকে এসেছে। কলকাতার বিশপের নথি অনুসারে, রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালে ঢাকায় যাওয়ার সময় শিবনিবাসকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে গ্রামে চারটি শিব মন্দির ছিল বলে জানা যায়। যদিও এই বিষয়ে এলাকার মানুষের কাছে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?
ভক্তরা কী বললেন?
এদিন শিবনিবাসের (Shibnibas) শিবের মাথায় জল ঢালতে দূর-দুরান্ত থেকে এদিন হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসে রয়েছে শিব মন্দির। রবিবার রাত বারোটা বাজতেই ভিড় সামলাতে খুলে দেওয়া হয়েছে শিব মন্দিরের গেট। পুরানো ঐতিহ্য মেনে নবদ্বীপ থেকে বাঁকে করে হাজার হাজার ভক্ত গঙ্গার জল নিয়ে শিবনিবাসে আসেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। অগণিত ভক্তগণের লম্বা লাইন মন্দির প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয়েছে বহুদূর পর্যন্ত। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ প্রশাসন সচেষ্ট। মন্দির এলাকার নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২৭০০ পুলিশ কর্মী। পুণ্যার্থী সুমিত্রা বিশ্বাস বলেন, আমি করিমপুর থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এসেছি। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এত বড় শিবলিঙ্গ আমি কোনওদিন দেখিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours