মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার পাশাপাশি এবারে কয়লা পাচার কাণ্ড (Coal Smuggling Case) নিয়েও তৎপর ইডি। কয়লা দুর্নীতিতে এবার ইডির নজরে কলকাতা পুলিশের এসিপি শান্তনু সিনহা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মত বুধবার দিল্লিতে ইডির দফতরে পৌঁছে যান ওই এসিপি। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি-র দিল্লি সদর দফতরে হাজির হন শান্তনু। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শান্তনু কালীঘাট থানার দায়িত্বে রয়েছেন। কয়লা দুর্নীতিতে (Coal Smuggling Case) এসিপি শান্তনুর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়েই শান্তনুর নাম উঠে আসে। তারপরেই তথ্য যাচাই করতে গতকাল তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
কে এই শান্তনু সিনহা ও কেন ডাকা হয়েছিল তাঁকে?
এসিপি শান্তনু বেশ কয়েক বছর কালীঘাট থানার ওসির পদে ছিলেন। পরে তাঁর পদোন্নতি হয়েই তিনি এখন ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে নিযুক্ত হয়েছেন। এসিপি শান্তনুকে তলব করায় শাসকদলের মধ্যেও অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, কয়লা পাচারের (Coal Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা এবং অন্যতম অভিযুক্ত শাসক দলের পলাতক নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশের বয়ানের ভিত্তিতেই গতকাল শান্তনুকে তলব করা হয়েছিল। ইডি সন্দেহ করেছে যে, কয়লা পাচারের একটা মোটা অংশের টাকা লালা, বিনয় ও বিকাশের থেকে বিভিন্ন পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছিল। তাই ইডির স্ক্যানারে এবারে কলকাতার পুলিশ কর্তারা। শান্তনুর গত ১০ বছরের আয়কর রিটার্ন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথিও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল।
ইডি সূত্রের দাবি, এর আগেও কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) দুবার নোটিশ দিয়ে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেসময় এড়িয়ে যান ও সময় চেয়ে নেন। এরপর তিনবারের সময় তাঁকে নোটিশ দিয়ে আগামী শুক্রবার তলবের জন্যে ডাকা হয় ও নোটিশে বলা হয় যে, এবার তিনি তলব এড়িয়ে গেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরপরেই মঙ্গলবার ফোন করে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন শান্তনু। ফলে গতকাল সময় মত পৌঁছে যান ইডির দিল্লি সদর দফতরে।
+ There are no comments
Add yours