মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারও ছট পুজো (Chat Puja) নিষিদ্ধ রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতার এই দুই লেকে ঢোকা বারণ। টাঙানো হয়েছে ‘প্রবেশ নিষিদ্ধ’ লেখা বোর্ড। এই দুই বৃহৎ জলাশয়ে পুজো নিষিদ্ধ হওয়ায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম জলাশয়।
প্রবেশ নিষিদ্ধ লেখা বোর্ড
গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটের পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতা ও পূর্ব কলকাতার এই দুই জলাশয়েও দীর্ঘ দিন ধরে হয়ে আসছিল ছট পুজো। মহানগরীর ফুসফুস স্বরূপ এই দুই জলাশয় বাঁচাতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে এবারও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ছট পুজোয়। রবীন্দ্র সরোবরে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরের খোলা জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছে টিনের বেড়া দিয়ে। আজ, শনিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই দুই জলাশয়ে।
ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা
জানা গিয়েছে, এবার শহরের স্থায়ী ও অস্থায়ী জলাশয় ও গঙ্গার ঘাট মিলিয়ে ১৩০টি জায়গায় আয়োজন হচ্ছে ছট পুজোর (Chat Puja)। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৭৭টি ঘাটে মোতায়েন করা হবে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ছট পুজো নিষিদ্ধ হলেও, সুভাষ সরোবর ও রবীন্দ্র সরোবরে দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার দুই আধিকারিক। ২৫০ জন করে তাঁদের অধীনে থাকবেন মোট ৫০০ জন পুলিশ কর্মী।
আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেয়নি মমতা সরকার! অভিযোগ শুনতে কল-সেন্টার চালু করছে বিজেপি?
ছট পুজো যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয় তাই শুক্রবার বৈঠকে বসে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এই বৈঠকে জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়েও হয়েছে আলোচনা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছট পুজো উপলক্ষে পুজোর দিন শহরে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত হাজার চারেক পুলিশ কর্মী। দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার প্রায় ৩৫ জন আধিকারিক। গঙ্গা ও শহরের বড় বড় জলাশয়গুলিতে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্তও হয়েছে এদিনের বৈঠকে। দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর থাকতে হবে পুলিশকে। জগদ্ধাত্রী পুজোয়ও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই মন্ত্রীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে জেলায় (Chat Puja)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours