মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তুতি তুঙ্গে। মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টিতে দমেনি পুজো নির্মাতারা। আগামীকাল ১৭ নভেম্বর চতুর্থীর দিন বিকেলেই চন্দননগরের উর্দিবাজার, বোরো, দৈবক পাড়া সহ ৬ টি পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে। বাকী পুজোগুলি পরে উদ্বোধন হবে। আসলে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ঐতিহ্য হল সুবিশাল প্রতিমা(সবই প্রায় উচ্চতায় ২০ ফুটের ওপরে), নয়নাভিরাম আলোর জাদু এবং অবশ্যই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এই তিন জাদুকাঠির জেরে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম জগৎজোড়া। এই কদিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করবেন জগতের ধাত্রীকে দর্শন করতে। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু থেকে শেষ সবটাই জাঁকজমকপূর্ণ। বৃহস্পতিবার চন্দননগরে নিজেদের কার্যালয়ে প্রেস মিট করে এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বললেন? (Jagadhatri Puja 2023)
কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, এবারে শাস্ত্র মতে ১৯ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ষষ্ঠী ও সপ্তমী একইদিনে পড়েছে। ২০ নভেম্বর অষ্টমী। তাই দশমীর দিন পর্যন্ত প্রতিমা থাকবে মণ্ডপে। প্রতিমা নিরঞ্জনের ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা হবে আগামী ২৩ তারিখে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন ভোরবেলা অবধি শোভাযাত্রা চলবে। চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর জুড়ে মোট ১৭৭ টি পুজো হচ্ছে এবারে। এর মধ্যে ৬ টি পুজো বারোয়ারির জুবিলী আছে। এদের মধ্যে কারও ২৫, কারও ৫০, কারও ৬০, আবার কেউ ৭৫ বছরে পদার্পণ করছে। এবারে পুজোর পরিবেশ হবে পরিবেশ বান্ধব। ঠাকুরের ভোগ দেওয়া হবে মাটির ভাঁড়ে। একান্ত প্রয়োজন না হলে প্লাস্টিক ব্যবহার করব না আমরা। প্রতিবছরের ঐতিহ্য মেনে ডিজে বা শব্দবাজির প্রবেশ নিষেধ চন্দননগর এলাকাতে।
বিসর্জনের শোভাযাত্রা কত পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করতে চলেছে?
বিশেষ করে বিসর্জনের যে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2023) বের হয় তা দেখতে রাস্তার দুধারে কাতারে কাতারে লোক আসে দূর দূরান্ত থেকে। তবে, সব পুজো বারোয়ারি শোভাযাত্রায় সুযোগ পায় না। গতবারের মতো এবারও ৬২ টি পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করবে। প্রতিটি কমিটির সর্বাধিক ৪ টি করে লরি থাকবে। এবার শোভাযাত্রায় মোট ২৩০ টি লরি থাকছে। এবারে কমিটি থেকে নতুন নিয়ম করা হয়েছে , যে লরিগুলিতে প্রতিমা থাকবে অর্থাৎ ৬২ টি লরিতেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বহন করা বাধ্যতামূলক। এদিন সেন্ট্রাল কমিটি থেকে আরও জানানো হয়, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭ টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা থাকবে। অগ্নিনির্বাপক দফতরের পক্ষ থেকেও পুজোর কটা দিন গোটা চারেক বড় ভ্যান চন্দননগরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা থাকবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পাশাপাশি মোবাইল (বাইক বাহিনী) টিমও থাকছে দমকলের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours