মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পাঁচেকের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের (Kerala Murder) ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল। রবিবার শিশুটির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার স্কুলে। শেষযাত্রায় পা মেলান কয়েকশো মানুষ। স্কুলে নিয়ে যাওয়া হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহপাঠী এবং শিক্ষকরা। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর এর্নাকুলাম জেলার আলুভা শহরের কাছে কিঝমাড কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে। দোষী ব্যক্তির কড়া শাস্তিও দাবি করেন শেষযাত্রায় পা মেলানো মানুষ।
গ্রেফতার অভিযুক্ত
জানা গিয়েছে, তিন ভাইবোনের সঙ্গে বেড়ে উঠছিল মেয়েটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আলুভা শহরের কাছ থকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় আসফাক আসলাম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করে বস্তায় ভরে জঞ্জাল ফেলার জায়গায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় আসফাক। শিশুটির পরিবার বিহারের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে এসেছিলেন কেরলে। ওই দিনই আসফাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ (Kerala Murder) সূত্রে খবর, মদ্যপ অবস্থায় থাকায় আসফাককে এদিন জেরা করা যায়নি।
কঠোর সাজার দাবি
শেষযাত্রায় অংশ নেওয়া এক মহিলা বলেন, “পুলিশ ওকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিক। ও যেভাবে শিশুটিকে নৃশংসভাবে মেরেছে, ওর সেভাবেই মরা উচিত। সরকার না পারলে, আমাদের হাতে তুলে দিক।” “ঘটনাটি কেবল যে নৃশংস, তাই নয়, হৃদয়বিদারকও”, বলছেন অন্য এক মহিলা। তিনি বলেন, “এটা সহ্য করা যায় না। এই ঘটনাটা শোনার পর থেকে আমি ঠিকঠাক ঘুমোতে পর্যন্ত পারিনি। আমাদের আইন আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।”
আরও পড়ুুন: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?
নৃশংস এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কেরল পুলিশ। ট্যুইট-বার্তায় তারা লিখেছে, “সরি, ডটার।” ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি এবং লজ্জাবোধ করছি। সরকারের (Kerala Murder) পক্ষে হয়তো সবকিছু ঠেকানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারের কর্তব্য এ জাতীয় অপরাধীর জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা। এমন শাস্তি যে যা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের কাজ করার আগে ভয় পায়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours