মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যে জোশীমঠকে ডুবতে থাকা অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় দল আজকে তাদের রিপোর্ট জমা করেছে জোশীমঠের পর্যবেক্ষণের পরে। সেখানে উদ্ধার কার্যের জন্য সেনা মোতায়ন করা হয়েছে। এই সময়েই চামোলি জেলার জোশীমঠ থেকে কিছু দূরে কর্ণপ্রয়াগের (Karnaprayag) বেশ কিছু বাড়িতে ফাটলের ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। সূত্র অনুযায়ী প্রায় ৫০টি বাড়িতে এমন ফাটল দেখা দিয়েছে। ছোটখাটো ধসও নেমেছে কোথাও কোথাও।
কর্ণপ্রয়াগের (Karnaprayag) স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন
মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অনুযায়ী কর্ণপ্রয়াগের (Karnaprayag) বহুগুণা নগর এলাকায় এই ফাটল সব থেকে বেশি দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে কর্ণপ্রয়াগ (Karnaprayag) পৌরসভা, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির কাছে সাহায্য চেয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এমন ফাটলের জন্য বহুগুণা নগরের অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং অন্যত্র চলে গেছে আতঙ্কের কারণে। এখনও অবধি কোনও ক্যাম্প গড়ে ওঠেনি তাই বেশিরভাগ জনই আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। কর্ণপ্রয়াগের (Karnaprayag) আপার বাজার এলাকা সবথেকে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বিধায়কের বিবৃতি
সেখানকার সিতারগঞ্জের বিধায়ক সৌরভ বহুগুণা এদিন বলেন যে জোশীমঠের কাছাকাছি আরও একটি এলাকাতে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিধায়ক আরও জানান যে তিনি অনেক ফোন কল পেয়েছেন যাঁরা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন তাঁদের কাছ থেকে। তাঁরা জোশীমঠের পরিণতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
জোশীমঠের বর্তমান অবস্থা
অন্যদিকে জোশীমঠে ৬৭৮ টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে চামোলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। অনেকেই ঘর ছেড়ে আতঙ্কে বেরিয়ে পড়েছেন। সেখানে ২২৭টি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে যেখানে ১২৭৮ জনকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশাসন জানিয়েছে যে মোট তিনটি জোনে সমগ্র জোশীমঠকে ভাগ করা হয়েছে। ডেঞ্জার জোন, বাফার জন এবং সেফ জোন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours