মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনি। তবে মৃত্যুর পরেও তিনি রক্ষা করলেন পাঁচজনের জীবন। তাঁর দেওয়া অঙ্গে (Organ Donation) বাঁচল পাঁচ-পাঁচটি প্রাণ। তিনি বছর পঁচিশের কানারিয়া সচিন খাণ্ডেলওয়াল (Kanwariya Sachin Khandelwal)।
কানারিয়া সচিনের দান (Kanwariya Sachin Khandelwal)
গত ২২ জুলাই উত্তরাখণ্ডের রুরকি শহরে গাড়ির ধাক্কায় জখম হন সচিন। হরিদ্বারের গঙ্গা থেকে জল নিয়ে আসছিলেন তিনি। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঋষিকেশের এইমসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সচিনের অঙ্গ দান করে দেওয়ার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা। সচিনের পরিবার দ্রুত রাজি হয়ে যান। সিদ্ধান্ত নেন সচিনের অঙ্গদানের। তড়িঘড়ি সচিনের কিডনি, অগ্নাশয় এবং লিভার সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এবং দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সে।
অঙ্গ দান, জীবন দান
সচিনের কর্নিয়ায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন উত্তরাখণ্ডের দুই দৃষ্টিহীন ব্যক্তি। সচিন ইহ-জগতে নেই। তবে তাঁর অঙ্গে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পাঁচজন। ঋষিকেশ এইমসের চিকিৎসক মিনু সিং বলেন, “সচিন (Kanwariya Sachin Khandelwal) অন্য অনেককে জীবন দান করেছেন। একজন নীরব হিরো হিসেবে এইমস তাঁকে চিরকাল মনে রাখবে।” কানারিয়া সচিনের ভাই পঙ্কজ খাণ্ডেলওয়াল বলেন, “সচিনের আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকার এটাই একমাত্র পথ। আমি বিশ্বাস করি, যাঁদের এরকম অবস্থা হবে, তাঁদের পরিবারের উচিত প্রিয়জনের দেহ দান করে দেওয়া। তাতে অন্তত মৃত্যুর পরে তাঁদের প্রিয়জন আরও কয়েক বছর বাঁচবেন।” তিনি বলেন, “অঙ্গদানের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে আমার পরিবার। এইমস কর্তৃপক্ষ সচিনের দেহ মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: গণধর্ষণকাণ্ডে ডিএনএ টেস্ট চান, অখিলেশের মুসলিম তোষণে ক্ষুব্ধ বিজেপি
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের প্রথম পনের দিন ধরে হরিদ্বারে হয় কানোয়ার মেলা। দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরা হরিদ্বারের বিভিন্ন এলাকা থেকে গঙ্গার জল সংগ্রহ করে ঢালেন কনখলে অবস্থিত দক্ষিণেশ্বর মহাদেব মন্দিরে শিবের মাথায়। লাখ লাখ পুণ্যার্থী এই সময় ভিড় জমান কনখলের মন্দিরে, জলাভিষেক করতে। এই পুণ্যার্থীদের দলেই ছিলেন (Organ Donation) সচিন। মৃত্যুর পরেও যিনি বেঁচে রইলেন পাঁচজনের শরীরে (Kanwariya Sachin Khandelwal)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours