মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে কড়া হাতে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় হানা দিয়ে প্রচুর তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে ইডি। রাজ্যের অন্য পুরসভার মতো বারাকপুরের কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই ঘটনায় কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পুজোর আগে চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি (ED)
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডা অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কামারহাটি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী এই পুরসভায় কর্মরত রয়েছেন। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুরসভায় হানা দেয়। এর আগে অয়নের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগ হওয়া বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই দুর্গা পুজোর আগেই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁর দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় ইডি (ED)। পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রমাণ ইডি-র হাতে আসে। এবার সেই সূত্র ধরেই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেকে ইডি আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন।
ইডি-র জেরার পর কী বললেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান?
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আমাকে যখনই ডাকছে তখনই যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে তার উত্তর দিচ্ছি। তাদের কর্তব্য তারা করছে। আমার কর্তব্য আমি করছি। আগামীদিনেও ডাকলে যাব। যা উত্তর দেওয়ার দেব। তবে, বার বার ইডি-র (ED) তলব এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে থাকায় পুরসভার কাজে ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, বার বার ডাকায় সময় বেশি লাগছে। তাতে একটা অসুবিধা হচ্ছে। পুরসভার কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজেও সমস্যা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours