মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদম্য ইচ্ছাশক্তি। সঙ্গে সাহসও। এমনই দুই বৈশিষ্ট্যের যেন মেলবন্ধন বছর ৬৫ এর মোস্তাক আলি। ছোটবেলা থেকেই সংসারের জন্য লড়াই আর লড়াই। টমটম অর্থাৎ ঘোড়ার গাড়িই (Horse Carriage) তাঁর বন্ধু, জীবনসঙ্গী। তাই এলাকায় টমটম চালক হিসাবেই সুপরিচিত মোস্তাক।
কলিয়াচকের (Kaliachak) ২ নম্বর ব্লকের পীরুটোলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এই এলাকায় ৪টি ঘোড়ার গাড়ি দৌড়ায়। তার মধ্যে মোস্তাকেরটিই বেশি পরিচিত। কারণ এই বয়সেও (Old Age) তিনি অবিরাম একই কাজ করে চলেছেন উৎসাহের সঙ্গে। মুখে মৃদু হাসি, চোখেমুখে বয়সের ছাপ। তবুও যেন হার না মানা চরিত্র।
এই মানুষটি তাঁর পেশা সম্পর্কে কী বলছেন?
মোস্তাক আলি বলেন, "ছোট থেকেই আমি এই কাজ করছি। অন্য কাজ আর কীই বা করব? তাই সাতপাঁচ না ভেবে এই কাজটিই আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত করতে চাই।" জানা গেল, তাঁর দৈনিক আয় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, যা আজকের বাজারে অনেক কম হলেও সাহস আর মনের জোরে টমটম চালক হিসাবেই রয়েছেন কলিয়াচকে। বললেন, এক সময় অনেক যাত্রী হত। কিন্তু আজকাল কমে গেছে। তাই দোকানহাটে মাল বহন করে যা আয় হয়, তাতেই সংসার (Family) চলে। তিনি জানান, এক সময় এই অঞ্চলে পাঁচশোর বেশি ঘোড়ার গাড়ি (Horse Carriage) ছিল। সেসব গাড়ি বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, সাহাবাজপুর, গোলাপগঞ্জ, কালিয়াচক প্রভৃতি রুটে ছুটে বেড়াত। তিনি এখন মোথাবাড়ি, অচিনতলা সিলামপুর ও কালিয়াচক রুটে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়েই জীবিকার নির্বাহ করেন।
এই বয়সেও অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা মোস্তাক
এক সময় এই এলাকা সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাতেই যোগাযোগের (Communication) মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হত এই টমটম। কিন্তু কালের নিয়মে তা আজ শেষের পথে। আজ এই এলাকায় ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪টিতে। তবুও এই বয়সে মনের জোর নিয়েই মোস্তাক তাঁর ঘোড়ার গাড়িকে (Horse Carriage) ছুটিয়ে নিয়ে চলেছেন কলিয়াচক জুড়ে। আজ ৬৫ বছর বয়সেও তিনি নিজে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। কখনও নিজের মনে মনে গান করে ছুটিয়ে নিয়ে চলেন তাঁর টমটম। আর এইসবই তাঁকে আরও উৎসাহ আর মনের জোর দেয় বলে দাবি মোস্তাকের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours