Kali Puja 2023: নৈহাটির ‘বড়মা’-র পুজো এবার ১০০ বছরে, ভোর থেকেই শুরু হবে দণ্ডি কাটা

পুলিশি নিরাপত্তায় গয়না পরানো হবে নৈহাটির বড় মা-কে
Kali_Puja_2023_(9)
Kali_Puja_2023_(9)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটির বড়মা ১০০ বছরে পদার্পণ করল। তাই এবার বাড়তি উন্মাদনা পুজো উদ্যোক্তাদের। নতুন মন্দিরে বিশাল জাঁকজমকভাবে মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি বসানো হয়েছে। উদয়পুর থেকে বড়মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি নিয়ে আসা হয়েছে। কষ্টি পাথরের বিগ্রহে মায়ের নিত্য পুজো হচ্ছে। আর নিয়ম মেনে মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মায়ের সোনা, রুপোর কয়েক কেজি গয়না থাকে ব্যাঙ্কে। অন্যবারের মতো এবারও পুলিশি নিরাপত্তার মোড়কে মাকে গয়না পরানো হবে (Kali Puja 2023)। লক্ষ্মীপুজোর দিন জাঁকজমকভাবে মায়ের বিগ্রহের খুঁটি পুজো হয়েছে। বড়মায়ের পুজো ঘিরে নৈহাটিবাসীর উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। মায়ের মাহাত্ম্যেই ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

ভবেশ কালীই আজকের বড়মা (Kali Puja 2023)

এই পুজোর সৃষ্টির একটি ইতিহাস রয়েছে। নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী এক বন্ধুর সঙ্গে ১০০ বছর আগে নদিয়ার শান্তিপুরে রাস উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে কালীর বড় বিগ্রহ দেখে নৈহাটি ফিরে অরবিন্দ রোডে কালীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এই কালী প্রতিমা ভবেশ কালী নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে ২১ ফুটের এই ভবেশ কালীকে বড় কালী বলা হত। কালের নিয়মে এই বড় কালী এখন বড়মা। বড়মায়ের মাহাত্ম্য লোকমুখে ঘুরে বেড়ায়। শুধু জেলার বাসিন্দারা নয়, দূর দূরান্তের হাজার হাজার ভক্ত দণ্ডি কাটার জন্য কালীপুজোর দিন ভোর থেকে গঙ্গায় লাইন দেন। বড় মায়ের পুজো দেখতে এতটাই ভিড় হয় যে অরবিন্দ রোডে ভক্তদের দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তাই, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই পুজো সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকে। বড় মা পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী বলেন, করোনার সময় দু'বছর মানুষের ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারেননি। গত বছর থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে। এবছর তো ভিড় অনেক বাড়বে। সেই মতো ভলান্টিয়ারের ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন ভোর থেকে ভক্তদের দণ্ডি কাটার জন্য বলা হচ্ছে।

তৈরি হচ্ছে ৫ তলা ধর্মশালা (Kali Puja 2023)

বড়মা পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর দেড় কোটি টাকা খরচ করে অরবিন্দ রোডে পাঁচতলা ধর্মশালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বড় মা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে। প্রতিটি ফ্লোরে ৬ হাজার ৮০০ স্কোয়ার ফুট জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে, ধর্মশালায় অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের থাকার কোনও সমস্যা হবে না। অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বিনা পয়সায় থাকার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বড় মা মন্দির কমিটির কর্মকর্তা তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, জি প্লাস ফোর বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। বড় মা পুজো কমিটির উদ্যোগেই সমস্ত কিছু করা হয়েছে। সেখানে যে কেউ চাইলে আর্থিক সাহায্য করতে পারেন। এই পুজো এবার ১০০ বছরে পদার্পণ করল। এই সময়ের মধ্যে ধর্মশালা চালু করার সব রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতদিন সারা বছর ছবি দিয়ে মায়ের নিত্য পুজো হত। এখন কষ্টি পাথরের বিগ্রহে পুজো হচ্ছে (Kali Puja 2023)।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles