মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পার্টি অফিসে কালীপুজো করতেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবছর কালীপুজো ২৪ অক্টোবর। গরু-পাচার মামলায় অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানোর কথা ২৯ তারিখ। অতএব দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোও হয়ত জেলেই কাটবে কেষ্টর। তবে অনুব্রত জেলে থাকলেও পুজো হবে, জানিয়েছেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তবে যে পুজোয় লাখ লাখ টাকা উড়ত, কোটি কোটি টাকার গয়না দেবীকে চড়ানো হতো, সেই পুজো কিনা হবে চাঁদা তুলে!
পুজোর খরচ জোগাড় হবে কী ভাবে তাও জানিয়ে মলয় বলেন, 'জেলায় মোট ১৫০ জন সদস্য আছেন। তাঁরা প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দেবেন। ফলে মোট দেড় লক্ষ টাকা উঠবে। সেই টাকায় পুজো ও মায়ের ভোগ হবে।' পুজো জাঁকজমক করে হবে বলেই জানান তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো। এবার সেই পুজো পা দিল ৩৫তম বছরে। পুজোয় দেবীর কাছে কেষ্ট-দার জন্য প্রার্থনা করবেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। 'মা তো সব কথাই শোনেন'...। তবে, অনেকের প্রশ্ন বেআইনিভাবে যে কোটি কোটি টাকা নিজের পকেটে পুড়েছেন অনুব্রত,ভয় দেখিয়ে বা জোড় করে যে দুর্নীতির টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তার কী হবে? 'মা কী তা দেখেননি?'
আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও
কালীপুজোর দিন অবাধে পার্টি অফিসে প্রতিমা দর্শনে আসেন সাধারণ মানুষ। রাতে খাওয়ানো হয়। কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করেন। এলাকায় এই পুজো কেষ্ট-র কালী নামেই পরিচিত। এই পুজোর জৌলুস এবং প্রতিমার গয়না নিয়েও কথা উঠেছিল। বীরভূমে তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা-সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত মন্দির রয়েছে। জেলায় সতীপীঠও রয়েছে। তবু কেষ্ট-র কালী প্রতিমাতেই কেন গয়নার সম্ভার চোখে পড়ে তা-নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী শিবির। চাঁদা তুলে তৃণমূলের এই পুজো করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours